আরসিটিভি সংবাদ : গাজোলে স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার ওই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান কলকাতা থেকে গৌড় এক্সপ্রেসে মালদা সার্কিট হাউসে ওঠেন, সেখান থেকে প্রায় সকাল আটটা নাগাদ গাজলে ধর্ষিতা ছাত্রীর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন – অবাধে কেটে ফেলা হল আমগাছ প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন ধুন্ধুমার বেঁধে যায় গাজোলে। অভিযোগ রাজ্য শিশু কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতর তৈরি হয় এলাকায়। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। যদিও পুলিশ দ্রুত তাদের সরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন – বৈঠক সেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিনিধি দল নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন বাড়ির বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন গাজলের বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন, গাজোল ব্লক বিজেপির নেতা ধীরেন্দ্রনাথ সরকার নিহাররঞ্জন মন্ডল রাজ্যের প্রতিনিধি দল কথা বলে বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন – স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাঁকিবাজির অভিযোগ
তারপর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নির্যাতিতা পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন তখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান এবং বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে তারা বাড়ির ভিতর চলে যান উপস্থিত ছিলেন গাজোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ টুডু গাজোল ব্লক মহিলা সভানেত্রী সাগরিকা সরকার গাজোল ব্লক আইএনটিটিসির সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে রক্ত বিক্রি করতে এসে ধরা পরল ২ জন
সেখানে ছুটে যান বিজেপির কর্মীরা এবং এলাকাবাসী তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ছুটে যায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী তারা দুই পক্ষকে আলাদা করে সরিয়ে দেন পরে অবশ্য বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।