নিউজ ডেস্ক , ২১ ডিসেম্বর : আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলকে মজবুত করতে মরিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি দলবদল অব্যাহত। বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপরই বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সৌমিত্র বলেন, “রাজনীতি আর ব্যক্তিগত জীবন এক হওয়ার নয়।
কিন্তু ১০ বছরের বিবাহিত জীবন রাজনীতির কারণে এভাবে আলাদা হবে তা জানা ছিল না। আমি শুধু সুজাতাকে বলতে চাই ওঁর এই সিদ্ধান্তে আমি বাধা দিচ্ছি না। রাজনীতির উর্ধ্বে কিছু ভালবাসা ও সম্পর্ক থাকে। স্বামী-স্ত্রী বিপদে একসঙ্গে থাকে, একে ওপরের পাশে থাকে। সেখানে রাজনীতি চলে আসবে এটা ভাবা যায়নি।” সোমবার তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় সুজাতার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। ছিলেন কুণাল ঘোষও। তার পর সুজাতা বললেন, ‘‘একটা চ্যালেঞ্জ নিলাম। কারণ, বিজেপি-র হয়ে প্রচুর লড়াই করেছি। কোনও নিরাপত্তা ছাড়া নিজের প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করেছি। কিন্তু বিজেপি তার জন্য কোনও সম্মান দেয়নি।’’ এদিন সুজাতা মন্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এত দিন যে দলটার বিরুদ্ধে লড়াই করতাম, সেই দল ছেড়ে এখন অনেকেই বিজেপিতে আসছেন। যে সব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা এত দিন তৃণমূলে ছিলেন, তাঁরাই বিজেপিতে এসে এখন শুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি এখন তৃণমূলের ‘বি’ টিমে পরিণত হচ্ছে। তা হলে আমি ‘বি’ টিমে কেন থাকব? ‘এ’ দলে চলে এলাম। যে ভাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথ দেখাবেন, সে ভাবেই এগিয়ে যাব। আমি কাপুরুষতা পছন্দ করি না। নিজেকে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই মনে করি।’’
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সৌমিত্রের জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সুজাতা৷ আইনি জটিলতায় বিষ্ণপুরের বাইরে ছিলেন সৌমিত্র৷ কার্যত একা হাতে স্বামীর হয়ে প্রচার করে তাঁকে জিততে সাহায্য করেন সুজাতা৷ এ দিন স্ত্রী প্রতি সেই কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র৷ তবে একই সঙ্গে জানিয়েছেন, বিজেপি-র হয়ে না দাঁড়ালে এই সাফল্য সম্ভব ছিল না৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আর তাঁর কোনও পিছুটান রইল না৷ নিজের লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনেই বিজেপি-কে জেতানোর হুঙ্কার ছেড়েছেন সৌমিত্র৷