সকাল সন্ধ্যে আড্ডা মানেই চায়ের দোকান। অনেকেই অফিস যাওয়ার পথে বা অফিসের ফাঁকে ঢুঁ মারেন চায়ের দোকানে। মাটির ভাঁড়ের চায়ে যেন মন জুড়িয়ে যায়। তবে সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছিল মাটির ভাঁড়। প্লাস্টিক এবং কাগজের কাপের জন্যেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মাটির ভাঁড়ের।
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবের
বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ মাটির ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিয়ে নস্টালজিয়া খুঁজে পায়। পরিসংখ্যান বলছে করোনা পরবর্তী সময় থেকে আবারও মাটির ভাঁড়ের দিকেই ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। আর সাধারণ মানুষের সেই চাহিদাকে পাথেয় করে মাটির ভাঁড় নিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প তৈরি করেছেন রায়গঞ্জের পালপাড়ার পাল পরিবার।
দার্জিলিং থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমান বে-আইনি মদ
সেখানে একটি কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কারখানায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মাটির ভাঁড় তৈরি হচ্ছে। সেই ভাঁড় সরাসরি চলে যাচ্ছে চায়ের দোকানগুলিতে। ফলে মাটির ভাঁড়ে চা খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে এড়ানো যাচ্ছে ক্ষতিও। এই কারখানায় কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন এলাকার মহিলারা। লাভবান হচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষও।
নিজের রাইফেল থেকে গুলিবিদ্ধ এক বিএসএফ জওয়ান
এই কারখানার মালিক বিজয় পাল বলেন, এক সময় পাল পাড়ায় সবাই মাটির কাজ করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে মাটির কাজ প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। তাই পুরনো মাটির সেই ঐতিহ্য বজায় রাখতে এবং প্লাস্টিক বা কাগজের কাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে দূরে রাখতে তিনি মাটির ভাঁড়ের কারখানা খুলেছেন। প্রথমে এক সময় মানুষ কাঁচের কাপে চা খেতেন। পরবর্তীতে সেই জায়গায় চলে আসে কাগজের কাপ।
নিজের রাইফেল থেকে গুলিবিদ্ধ এক বিএসএফ জওয়ান
কিন্তু কাগজের কাপ অত্যন্ত ক্ষতিকারক। করোনা পরবর্তী সময় থেকে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বর্তমানে তার এই কারখানায় কুড়ি জন কাজ করছেন। মহিলারা এখানে কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।কারখানার কর্মী সুমিতা পাল বলেন, মাটির চায়ের কাপ বানাচ্ছেন তারা। চার মাস হল এই কাজে যুক্ত হয়েছেন। একদিনে প্রায় হাজার মাল কাটতে সক্ষম হন। এভাবে কাজ করে সংসার সামলে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তিনি।
নিয়ম মেনে ধান ক্রয় না করলে ব্যবস্থা
কারখানার আরেক কর্মী দীপিকা পাল বলেন, মাটির চায়ের কাপের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বেশ কয়েকদিন থেকে তিনি এই মাটির কাপ তৈরীর কাজে যুক্ত হয়েছেন। সংসার সামলে এখানে কাজ করে কিছু উপার্জন হচ্ছে।অন্যদিকে এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম রায়গঞ্জের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সাথে। কাগজের কাপে ঠিক কি ধরনের ক্ষতি হয় এবং মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়াই বা কতটা সুরক্ষিত সে বিষয়ে শুনবো তার বক্তব্য।