দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে রায়গঞ্জের বোগ্রামে অবস্থিত স্পিনিং মিল। অলাভজনক শিল্পের তকমা নিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্পিনিং মিলস লিমিটেড। তারপর থেকে রায়গঞ্জের কুলিক নদীর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক স্রোত।
দার্জিলিং থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমান বে-আইনি মদ
সরকারিভাবে এই স্পিনিং মিলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘোষণাই সার। এখনও পর্যন্ত ছিঁটেফোটাও শিল্প গড়ে ওঠেনি এই স্থানে। ফলে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবের ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়িয়ে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা যায়, এক সময় রাজ্য সরকার বন্ধ স্পিনিং মিলের জায়গাটিকে WBIIDC-র হাতে তুলে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল সেখানে হবে টেক্সটাইল হাব কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি।
নিজের রাইফেল থেকে গুলিবিদ্ধ এক বিএসএফ জওয়ান
পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবের জন্য এই জায়গাটিতে প্রায় কুড়ি কোটি টাকা খরচ করে পরিকাঠামো তৈরি করে সরকার। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়। বলা হয় শিল্পদ্যোগীরা পাঁচ লাখ টাকা কাঠা প্রতি জমি ক্রয় করে শিল্প গড়তে পারবেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে এই স্থানের জমির মূল্য ১ কোটি টাকা বিঘা দাঁড়াচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহী হননি কোন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী। তাই আজও তিমিরেই পড়ে রয়েছে এই জায়গাটি। ফলে ব্যবসায়ীরা রীতিমতন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
নিয়ম মেনে ধান ক্রয় না করলে ব্যবস্থা
রায়গঞ্জের ব্যবসায়ী রাতুল সাহা বলেন, রায়গঞ্জে শিল্প বলতে ছিল স্পিনিং মিল। তা উঠে যাওয়ার পর এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়নি। আমরা চাই এখানে কৃষি নির্ভর শিল্প গড়ে উঠুক। ফলে অর্থনীতির জোয়ার আসবে।
ভক্ত নামের রায়গঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের পদ্ধতি চলছে। কিন্তু কবে তা হবে বুঝতে পারছি না। এটা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি ঘটবে। ব্যবসায়ীরা সবাই আশাবাদী।
রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রায়গঞ্জের এই স্পিনিং মিল। এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবের জন্য পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জমির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আগ্রহী হচ্ছেন না কোন শিল্পোদ্যোগী। সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।