নিজস্ব সংবাদদাতা , বালুরঘাট , ২৪ মে : বাড়ির বাইরে বের হলে তবেই রোজগার। সকলের সংগৃহীত রোজগারেই চলে প্রত্যেকের পেট। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধের জেরে বাইরে বেরনো বন্ধ।
রোজগার হারিয়ে তাই চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বৃহন্নলাদের। বালুরঘাট শহরের সাহেব কাছারি এলাকার শান্তিময় ঘোষ কলোনির বাসিন্দা তৃতীয় লিঙ্গের ১৬ নাগরিকের এখন নিজেদের বাড়ির চার দেওয়ালের গন্ডির মধ্যে আটকে। অভাবের সঙ্গে জুঝতে হচ্ছে বৃহন্নলা নদী, চুমকি, পলি, টুম্পা, পায়েল হিজরানিদের। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে কার্যত আলাদা ওঁদের জীবনযাপন। ফলে ঘরে-বাইরে বিধিনিষেধে অবরুদ্ধ ওঁরা। ওঁদের গুরুমা পারুল বলেন করোনা বিধিনিষেধে বিয়ে, অন্নপ্রাশনের মত অনুষ্ঠান বন্ধ। বাসিন্দাদের বাড়িতেও ঢোকা বারণ। সকালের দিকে এক দুজন বের হলেও অনেকে দূর থেকে দেখেই দরজার তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। রোজগার একদম শূণ্য। এদিকে জমানো সঞ্চয়ও প্রায় শেষ। দুবেলা এতগুলো পেট কিভাবে চলবে ভেবে গুরুমার মুখ থমথমে। শুধু পেটে দিলেই হবে না, জামাকাপড়, ওষুধপত্র ও অন্যান্য খরচের জন্য টাকার দরকার। রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ায় হাতে টাকাও নেই বলে জানিয়ে তাঁর আক্ষেপ বাস, ট্রেন চলাচল বন্ধ। এবারের বিধানসভা ভোটে ভোট দিয়েছেন ওরা। প্রত্যেকের রেশন কার্ডও রয়েছে। কিন্তু এপিএল কার্ড। চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটছে বলে জানিয়ে নদী, পায়েলদের দাবি সরকার তাদের ভোটের অধিকার দিয়েছে। হাসপাতালে চিকিতসার জন্য আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করেছে। ভোটের আগে নেতারা কত আশ্বাস দিয়ে গেলেন। রেশনকার্ড বিপিএল হবে। ভাতার ব্যবস্থা হবে। এখন এই বিপদের সময় কেউ নেই। প্রতিমাসে রেশনের দুকেজি চাল ও দুকেজি আটায় কোনও রকমে চলছে তাদের। ভাতার ব্যবস্থা করলে তাদের দুর্দশা দূর হয়।