নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, ১২ এপ্রিল : রায়গঞ্জ থানার পানিশালার গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হলো এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম মোক্তার হোসেন(২৬)।
রবিবার সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ ভুট্টা ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার মর্গে ময়না তদন্ত হয় মৃতদেহের। সেখানে দাঁড়িয়ে এঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত মোক্তার হোসেন এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। নির্বাচনের জন্য দলের হয়ে মিটিং, মিছিলেও নিয়মিত যেতেন। গত ১০ এপ্রিল রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মিটিংয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল মোক্তার। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশেই ভুট্টা ক্ষেত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে তাঁর মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে তাঁর শোকার্ত স্ত্রী আলবেরা খাতুন, মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হাজির ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল মোক্তার। দলের বিভিন্ন মিটিং-মিছিল নিয়মিত অংশ নিত। গত শনিবার দলের মিটিংয়ে গিয়েছিল। ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় মোক্তার। এঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে রামপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি৷ এঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের রায়গঞ্জ বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর অরিন্দম সরকার জানিয়েছেন,’মোক্তার হুসেন তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত শনিবার দলের মিটিংয়ে গিয়েছিল। তারপর ফেরার পথে তাকে খুন করা হয়। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ঢাকঢোল পিটিয়ে আট দফায় নির্বাচন করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কী করে আমাদের দলীয় কর্মী খুন হল? বিজেপির নির্দেশে নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি মোদি ও অমিত শাহের দেশ ও দেশের নাগরিকদের জন্য কোনো চিন্তা নেই। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে৷ শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’ জানা গেছে মৃত মোক্তার হোসেন রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। তার মৃত্যুতে কার্যত পথে বসল পরিবারটি। এব্যাপারে বিজেপির রায়গঞ্জ যুব মোর্চার সভাপতি অভিজিৎ যোশীর দাবি বিজেপি খুনের রাজনীতি করে না৷ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।