নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৩ মে : অনেক অপেক্ষা করেও পুলিশ না আসায় দাদুর মৃতদেহ জল থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে গেল নাতিরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলিয়াবান গ্রামে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেছে।
জানা গেছে, রায়গঞ্জ ধুলিয়ান এলাকার অশিতীপর বৃদ্ধ নিখিল বর্মন দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। চোখেও কম দেখতেন।গত দুইদিন যাবৎ নিখিলবাবু নিখোঁজ ছিলেন।ভারসাম্যহীন থাকায় পরিবারের লোকেরা তার কোন খোঁজও নেয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের একটি পুকুরের একটি মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এরপর এলাকায় লোকজনের ভিড় জমে যায়। এরপর কৌতুহলবশত জলে নেমে নিখিলবাবুর দেহ শনাক্ত করে তার দুই নাতি জয়ন্ত এবং অজিত বর্মন। দেহ শনাক্ত করে পুলিশের অপেক্ষা না করেই সেই দেহ জলে রেখে দেয় নি তারা। নিখিলবাবুর দুই নাতি দেহ জল থেকে তুলে প্রায় ৫০০ মিটার দেহ কাধে তুলে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভঃ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে এসেছে। বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহঃ আজিমূলের দাবি অন্ধকারে দেখতে না পেয়ে পুকুরের জলে পড়ে গিয়েই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের ।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।