নিজস্ব সংবাদদাতা ,গাজোল , ১৪ এপ্রিল: রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। পশ্চিমবঙ্গ তথা বাঙালি জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্য, জেলা বা শহরে এই দিনটি আনন্দ ও উল্লাসের সঙ্গে পালিত হয়।
আর বাঙালির যে কোনও শুভ কাজ মানেই মিষ্টিমুখ।নববর্ষ উপলক্ষ্যে লাড্ডু তৈরীতে ব্যস্ত গাজোলের বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলি। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে পূর্বের তুলনায় এবার লাড্ডুর চাহিদা অনেকটাই কম।
গাজোল শহরের এক মিষ্টি বিক্রেতা সমরজিৎ তাস জানান, তাঁরকারখানায় ১০ ১২ জন কারিগর মিষ্টি তৈরীতে ব্যস্ত। অন্যান্যবার ১০ থেকে ১৫ হাজার লাড্ডুর অর্ডার থাকলেও তা কমে এবছর এসে দাড়িয়েছে চার থেকে পাঁচ হাজারে। করোনা আবহের জেরে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন দোকান মালিকরা ফলে বেতন দিয়ে কারিগর রেখে কাজ করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।অপর এক ব্যবসায়ী তপন মহন্ত বলেন, নববর্ষের জন্য কারখানায় বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু তৈরি করা হয়েছে। তবে চাহিদা তুলনামূলকঅনেকটাই কম। জিনিসপত্রের দাম ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় লাড্ডুর দাম বৃদ্ধি পায়নি ফলে লাড্ডুতে সেরকম লাভ হচ্ছে না।সাধারণত বছরের এই সময়টা চরম ব্যস্ততায় কাটে মিষ্টির দোকানগুলিতে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাতদিন জেগে চলে মিষ্টি বানানোর কাজ। তবে চলতি বছরের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু দোকান বাড়তি কোনও আয়োজনের দিকেই পা বাড়াচ্ছে না।