মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে কি কি আলোচনা হল? জানুন বিস্তারিত....

মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে কি কি আলোচনা হল? জানুন বিস্তারিত….

আমেরিকা সফরে মোদি

বৃহস্পতিবার থেকেই সব মহলের নজর ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ( pradhan mantri narendra modi ) আমেরিকা সফরের দিকে। দ্বিতীয়বার ট্রাম্প মার্কিন মসনদে বসার পর অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ( markin president trump ) হওয়ার পর প্রথমবার আমেরিকা সফরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( narendra modi )। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরবেলা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন মোদি-ট্রাম্প ( modi – trump ) । মার্কিন প্রেসিডেন্ট- এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে ( Washington ) পৌঁছে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( pradhan mantri narendra modi ) । সম্ভবত নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সাথে সম্পর্ক পরিচালনার লক্ষ্যে, যার স্টাইল আমেরিকা ফার্স্ট নীতি এবং একটি ট্রেডমার্ক অনির্দেশ্যতার চারপাশে আবর্তিত। হাইপ সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটনে প্রথম সফরটি ছিল একটি শান্ত, ব্যবসায়িক-প্রথম ব্যাপার – যা একটি কাজের সফরের জন্য আশ্চর্যজনক নয়। যদিও মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ( social media post on trump ) এক পোস্ট করেছিলেন, সেই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন আজ বড় একটা দিন , পারস্পরিক শুল্ক আরোপ! আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলতে হবে। তাঁর এই পোস্ট ঘিরেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কোনও প্রভাব পড়বে ভারতের উপরে? অবৈধবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গ কি উঠে আসবে ট্রাম্প-মোদির আলোচনায়? এছাড়াও ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মজবুত করতে আরও কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত? এইসব দিকেই নজর ছিল সকলের।

স্বাধীনতার শতবর্ষে মোদি সরকার!

মোদির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তেল ও গ্যাস রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০২৫ সাল থেকে এফ-৩৫ জেট সহ ভারতের কাছে মার্কিন সামরিক বিক্রয় সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। উভয়পক্ষই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে এবং একটি নতুন প্রতিরক্ষা কাঠামো চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প – মোদি বৈঠকে ( trump-modi meeting ) মুম্বাইয়ে যে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় ভূমিকা রাখার জন্য অভিযুক্ত শিকাগো ব্যবসায়ী তাহাউর রানাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে বলেও ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন। ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন খাতে এগোবে তাও বুঝিয়ে দিলেন । যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি দিলেন এক নতুন মন্ত্র, MAGA + MIGA = MEGA। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায় , এটা হবে মেগা অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। মেগা স্পিরিট ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এনে দেবে নতুন সুযোগ। স্বাধীনতার শতবর্ষে অর্থাৎ ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মোদি সরকার। এদিন সে কথাও ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, “আমেরিকার জনগণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয় স্লোগান MAGA – Make America Great Again সম্পর্কে পরিচিত। ঠিক তেমনই, ভারতের জনগণও ঐতিহ্য ও উন্নয়নকে সামনে রেখে দ্রুতগতিতে বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে। ভারত সহ বেশ কিছু দেশের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। ঠিক এই সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব। খুব শিগগিরই বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবো। মোদি এবং ট্রাম্প ২০২৫ সালের শরৎ নাগাদ একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্যায়ে আলোচনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনায় বাজার অ্যাক্সেস, শুল্ক হ্রাস এবং পণ্য ও পরিষেবা জুড়ে সরবরাহ চেইন একীকরণের উপর ফোকাস করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে গৌতম আদানি ইস্যু

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম আদানি ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন। মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানিকে গত নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে $250 মিলিয়ন ঘুষ প্রকল্পের অভিযোগে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। মোদি বলেছেন ,যে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। অভিবাসনের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, যে ভারত যাচাইকৃত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রায় ১১ বছরের মেয়াদে এটি ছিল মোদির তৃতীয় সরাসরি প্রেস প্রশ্নোত্তর। তিনি কখনো একক সংবাদ সম্মেলন করেননি।

Next Post

দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রাজীব কুমার,তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন কে?

Fri Feb 14 , 2025
১৮ ফেব্রুয়ারি দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রাজীব কুমার। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন কে?চলছে সেই আলোচনা। সূত্রের খবর,দেশের পরবর্তী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হতে চলেছেন জ্ঞানেশ কুমার। ভ্যালেন্টাইন ডে ‘ র প্রাক্কালে পড়ল পোস্টার!!বাড়ছে রহস্য ১৭ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত বৈঠক হতে চলেছে। সেই বৈঠকেই সম্ভবত নাম ঘোষণা হতে পারে […]

আপনার পছন্দের সংবাদ