ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ মোদির

আমেরিকার ( america ) মসনদে বসতেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ( president donald trump )। সোমবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ফ্লোরিডা থেকে অ্যান্ড্রুসের জয়েন্ট বেসে ফেরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ সীমান্তে বাংলাদেশের উস্কানির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সোমবার দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ( pradhanmantri narendra modi ) । এরপরেই ট্রাম্পের বার্তায় স্পষ্ট হয় গোটা পরিস্থিতি। কথোপকথনের পর ট্রাম্প জানান, খুব শীঘ্রই আমেরিকা সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মোদির। ট্রাম্প জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে ( america tour ) আসবে প্রধানমন্ত্রী মোদী ( pradhanmantri modi )। সোমবার অনেকক্ষন দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনে কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প আরও জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার ফোনালাপ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত কেবল ভারতই নেবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম ইনিংসে শেষ বিদেশ সফর ছিল ভারতই ।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট মোদির

এর আগে, ৭ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরেই, তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( pradhanmantri narendra modi )। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মোদী তৃতীয় প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার সময় তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ২৭ জানুয়ারী অর্থাৎ সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ( president donald trump ) ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ( pradhanmantri narendra modi ) দীর্ঘক্ষণ ফোনালাপ হয়। তারপরই মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন ( social media post ), প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে ভীষণ আনন্দিত হলাম। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানালাম। আমরা পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব’। বিশ্বের শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আরও দূর এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত ও আমেরিকা। বাংলাদেশ ও ভারতের অস্থির সম্পর্কের মাঝেই ইতিমধ্যেই ঢাকার ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশের সব প্রজেক্টে আর্থিক সাহায্যে দাঁড়ি টানছে আমেরিকা। ক্ষমতা হাতে নিতেই একথা ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ( president donald trump )। তার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথন। আর তারপরই ফ্লরিডা থেকে ম্যারিল্যান্ডে ফেরার সময় সাংবাদিকদের একথা নিজেই জানান ট্রাম্প।
অবৈধ অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসের ( white house ) দায়িত্ব নেওয়ার পরই অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন ৷ সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে চান তিনি ৷ তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মোদি সরকার ( modi sarkar ) ৷ এই আবহে সোমবার মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷ হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষ্যে দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে ৷ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানো নিয়ে ইতিমধ্য়েই ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ জানা গিয়েছে, বিশ্ব শান্তির পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয় নিয়েও কথোপকথন হয়েছে তাদের মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। ফোনালাপের পর একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে আরও নতুন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা। বিশেষত ভারত-আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং চিনের দাপট রুখতে কোয়াড জোটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান দুই রাষ্ট্রপ্রধান।