আর সি টিভি সংবাদ , ৬ মার্চ : বসন্ত এসে গেছে…। চারিদিকে আজ মুক্ত বাতাস, পাখীর কলতান। আসছে রঙের উৎসব দোল। একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। শুধু শরীর নয় রাঙিয়ে তুলতে হবে মনকেও। রঙের মধ্যে দিয়েই হিংসা, বিদ্বেষ, বিভাজন কে দুরে সরিয়ে তৈরী করতে হবে সম্প্রীতির বন্ধন। তবেই আসবে দোল অর্থাৎ বসন্ত উৎসবের স্বার্থকতা। এই বিশেষ বার্তাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মত এবারে রায়গঞ্জ শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। রায়গঞ্জের বসন্ত উৎসব মানে প্রথমেই যে জায়গার ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটি হল রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন –অসুস্থ অবস্থায় পথে ঘাটে ঘুরছে বাবা,ছেলের কীর্তিতে সরব এলাকাবাসীরা
এই প্রাঙ্গনেই ২০০৫ সালে প্রথম সূচনা হয়েছিল বসন্ত উৎসবের। তারপর ১৮ টি বসন্ত পেরিয়ে এবারে ১৯ তম বর্ষে পদার্পন করছে এই উৎসব। রায়গঞ্জ পৌরসভার সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত এই উৎসব রাজনীতি, ধর্ম-বর্ণ সব লিছুর উর্ধ্বে গিয়ে এক মিলনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হবে না। প্রায় ২০০ জন নৃত্য ও সঙ্গীত শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। যাকে ঘিরে চলছে জোড় কদমে প্রস্তুতি। সকাল-সন্ধ্যে চলছে অনুষ্ঠানের মহড়া। যাকে ঘিরে বেশ উৎসাহিত আট থেকে আশি সকলেই।
আরও পড়ুন –লোনের টাকা দিতে না পারায় গ্রাহককে মারধরের অভিযোগ কোচবিহারে
মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে। এই মহড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সবটাই পরিচালনা করছেন উৎসব কমিটির সম্পাদক ডাঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য ও সভাপতি গৌর দত্ত। জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য বলেন, একসময় সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছিল এই উৎসব। তাদের মধ্যে আজ অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। তবে এই উৎসব শুরু হওয়ায় দোলের দিনে শহরে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা নজরে আসেনা। সংস্কৃতির স্রোতে মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসবে মেতে ওঠেন। তিনি জানান, দোল মানে শুধু রংখেলা নয় এটা হল উৎসব। যা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া উচিত।অন্যদিকে, সকলকে দোল উৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন উৎসব কমিটির সভাপতি গৌর দত্ত। সকলের জীবন রঙীন হয়ে উঠুক এই কামনা করেন তিনি।