নিউজ ডেস্ক , ১৩ অক্টোবর : পৃথিবী এখন ছোট হতে হতে হাতের তালুতে থাকা মুঠোফোনটিতে বন্দী। ৬ইঞ্চির যন্ত্রটি যেন সব পেয়েছির দেশ। যা চাইবেন পাবেন সব কিছু।কিন্তু সেই পাওয়াকে জিইয়ে রাখতে দরকার তার প্রাণভোমরাকে বাঁচিয়ে রাখার। অর্থাৎ চার্জ দেওয়ার। কিন্তু রাস্তায় আছেন চার্জ দেবেন কিভাবে। মুশকিল আসান আছে তো। কিনে ফেলুন পাওয়ার ব্যাঙ্ক। বসিয়ে দিন চার্জে।
তবে হ্যা!এই পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার সময়ে মাথায় রাখতে হবে বেশ কয়েকটি বিষয়।কি সেগুলো চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নিই :
* পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার আগে দেখে নিন তাতে ক’টি ফোন চার্জ করা যাবে। অর্থাৎ পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন প্রয়োজনুসারে। যদি একাধিক ফোন চার্জে বসাতে হয়, সেক্ষেত্রে দুই বা তার বেশি পোর্টযুক্ত পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন। তার কম হলে সমস্যায় পড়তে হবে।
* পাওয়ার ব্যাঙ্কে ফোন চার্জ বসানোর পর তা চার্জ হচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত করে নিন। দেখে নিন তাতে ‘স্টেটাস ইন্ডিকেটর’ রয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে চার্জে পাওয়ার ব্যাঙ্কটি বন্ধ হয়ে গেলে আপনি জানতে পারবেন।
* কোন স্থানীয় কোম্পানি নয়, পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন নামী কোন ব্র্যান্ডেড কোম্পানীর। মুলত এটি নির্ভর করে তার ব্যাটারি ও সার্কিটের ওপর। স্থানীয় কোম্পানির পাওয়ার ব্যাঙ্কের ব্যাটারী ও সার্কিট কিছুদিন পর খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তখন সারাইয়ের পেছনে সময় ও অর্থ দুইই ব্যয় করতে হবে।
* পাওয়ার ব্যাঙ্কে পাওয়া কেব্লটি দিয়ে ফোন চার্জ করুন বা সেটিকে চার্জে বসান। অন্য কোন কেব্ল হলে সেটি চার্জ হতে সমস্যা হতে পারে। সময় লেগে যেতে পারে অনেকটাই বেশি।
* ফাস্ট চার্জিং অপশন আছে কিনা দেখে নিন।সেক্ষেত্রে দামটা হয়তো কিছুটা বেশি পড়বে। কিন্তু সুবিধে হবে আপনার। তাড়াহুড়োর সময় এটিকে দ্রুত চার্জ করা যাবে। এমনকি অন্য পাওয়ার ব্যাঙ্কের তুলনায় ফুল চার্জ হতে সময় লাগবে কম
* পাওয়ার ব্যাঙ্কটিকে অবশ্যই হতে হবে পকেট ফ্রেন্ডলি। বড় পাওয়ার ব্যাঙ্ক মানে সেটি বেশি চার্জ হবে এমন কোন মানে নেই।মুলত সেটি নির্ভর করে তার ব্যাটারির গুণগত মানের ওপরে।ছোট সাইজের হলে জিন্সের পকেটে ক্যারি করা অনেক সহজ।
* পাওয়ার ব্যাঙ্কে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারী রয়েছে কিনা তা দেখে নেবেন। অন্য ধরনের ব্যাটারীতে চার্জ বেশী হলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা থেকেই যায়।
সুতরাং পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনতে গিয়ে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো।