নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ২৯ নভেম্বর : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ দশা বাস টার্মিনাসের। ফলে গাড়ি ধরতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীরা।ফলে বহুদিন ধরেই বাস টার্মিনাস সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসছিলেন চাঁচলবাসী। এলাকাবাসীদের দাবীকে মান্যতা দিয়ে অবশেষে চাঁচলের নজরুল বাস টার্মিনাস সংস্কারের উদ্যোগ নিলো মহকুমা ও ব্লক প্রশাসন।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, চাঁচল শহরের যাত্রীবাহী বাস পার্ক করার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে এই বাস টার্মিনাস গড়ে তোলা হয়।
নাম দেওয়া হয় নজরুল বাস টার্মিনার্স।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ দশা এই বাস টার্মিনাসের। এমনকী যাত্রী দাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। পরিকল্পনা না করে বাস টার্মিনাসটি গড়ে তোলায় রাস্তায় যাত্রীদের ওঠানো নামানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়। যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। এমনকী গাড়ি বের করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় চালকদের। ফলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নতুন করে চাঁচল শহরে একটি বাস টার্মিনার্স তৈরি করার। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে শুক্রবার ব্লক দপ্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নজরুল বাসস্ট্যান্ডটি ভেঙ্গে নতুন করে একটি বাস টার্মিনাস নির্মাণ করা হবে।রবিবার বাস টার্মিনাসটি পরিদর্শন করেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এদিনের এই পরিদর্শন কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমিরন ভট্টাচার্য,থানার আইসি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পান্ডে সহ ভূমি দপ্তরের আধিকারিক এবং বাণিজ্য সংগঠনের সদস্যরা।বাস টার্মিনাসটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি মাপ জোকও করা হয়।
ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমিরন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে এবং মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে বাস টার্মিনাসটির সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।নতুন বাস স্ট্যান্ড মাটি হবে সেটি আকারে বড় হবে। বাস বেরোনোর রাস্তাটিও সমতলীকরণ করা হবে। নির্মিত হবে যাত্রী প্রতিক্ষালয়, টয়লেট।থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। বাস টার্মিনাসটির সার্বিক সৌন্দর্য্যায়ণের কাজ করা হবে। এই বাস টার্মিনাস নির্মিত হলে যানজটের সমস্যা অনেকটা নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। পরিকল্পনাটি এপ্রুভ হয়ে গেলে শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পর নতুন বাস টার্মিনাস পাওয়ায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া চাঁচল শহরজুড়ে।