চাঁচল, ৩ জুলাই : ক্রমাগত বৃষ্টিতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে চাঁচল ভাকরি পঞ্চায়েত ভবানীপুর গ্রামে। ভাঙ্গনে কাটতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তা। প্রতিবছর নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকাগুলি। ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে অনেকে নিজের ঘরবাড়ি, চাষের জমি হারিয়েছে।
ফলে এবারে লাগাতার বৃষ্টিতে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে ভাকরি পঞ্চায়েতের ভবানীপুরে একটি রাস্তা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত ভবানীপুর থেকে রামপুর অব্দি বিস্তৃত এই রাস্তাটি আগেও ভাঙণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারের টানা বর্ষণে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে নদী তীরবর্তী এই রাস্তাটির। ফলে দ্রুত সংস্কার না হলে নদীভাঙনে এই রাস্তাটির কতটুকু অস্তিত্ব থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান এলাকার বাসিন্দারা। আব্দুল জামিল নামে এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি দিয়ে রামপুর অব্দি যাতায়াত করা যায়। এমনিতেই প্রতিবছর নদীভাঙনে এই এলাকার বিভিন্ন অংশ নদীর তলায় চলে যাচ্ছে। দ্রুত এই নদীভাঙ্গন রুখতে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়েছে ধীরে ধীরে পুরো রাস্তাটি জলের তলায় চলে যাবে।এই রাস্তার সম্পর্কে জেনে শনিবার এলাকা পরিদর্শনে যান মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নূর হোসেন সহ অন্যান্যরা।নদীভাঙ্গনে রাস্তায কাটতে শুরু করায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের মানুষ। কর্মাধ্যক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এদিন পরিদর্শন শেষে কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন জানিয়েছেন, ভবানীপুর থেকে রামপুর অব্দি এই রাস্তাটি নদীভাঙনে অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সংস্কার না হলে তা আরো কেটে গিয়ে বিপত্তির সৃষ্টি করবে। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানকে এলাকা পরিদর্শনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই রাস্তাটি ভাঙনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককেও জানানাও হয়েছে। দ্রুত এই ভাঙনের কাজ রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রফিকুল হোসেন।
আরও খবর পড়ুন : রেশন না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের