রতুয়া, ২২ অক্টোবর : বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টি। আর অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান নদীগুলির মধ্যে অন্যতম মহানন্দা, তিস্তা সহ অন্যান্য নদীতে। মহানন্দা নদীর জল বাড়তেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে এই নদীর শাখানদীও।
বুধবার রাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের লখড়িকোলাঘাট এলাকায় নদীর ওপর অবস্থিত একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। এঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা নিয়ে পারাপার করছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।উল্লেখ্য, রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের চাঁদমনি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লখড়িকোলাঘাট এলাকায় বাসিন্দাদের নদী পারাপারের ভরসা এলাকার একমাত্র এই বাঁশের সাঁকোটি। প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেতেও নদীপথ ব্যবহার করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। এই সেতুর ওপর নির্ভর করেন রতুয়া, সামসী, ভাদো, চাঁদমনি পরানপুর, আড়াইডাঙ্গা, মির্জাপুর এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বুধবার রাতে চাঁদমনি এলাকার ভিন রাজ্য থেকে ফেরা কিছু শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছিলেন। সেই সময় ঘটে বিপত্তি। হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাঁশের সাঁকোটি। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয় প্রায় ৮ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভোট আছে ভোট যায় তবুও এলাকাবাসীদের যাতায়াতের স্থায়ী সেতু নির্মিত হয় না। ভোটের আগে ব্রিজ তৈরির প্রতিশ্রুতি মিললেও পরে তা আর বাস্তবায়িত হয় না। আগামীদিনে এলাকায় স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।