আরসিটিভি সংবাদ : বলা হয় সঠিক পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়েই বিকাশ ঘটে নগর সভ্যতার। এই পথেই নগরবাসীর কল্যান সাধনে এগিয়ে চলেছে রায়গঞ্জ পৌরসভা। ২০১৭ সালে জনগনের বিশ্বাস ও ভরসা কে কাঁধে নিয়ে রায়গঞ্জ পৌরসভায় গঠিত হয় নতুন বোর্ড।
তারপর এক এক করে পৌরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। শহরের পথ-ঘাট, নালা নিকাশী, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, বর্জ্র ব্যবস্থাপনা, বিনোদন সহ সবক্ষেত্রেই রাজ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করেছে রায়গঞ্জ পৌরসভা। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পৌরসভার একটি উল্লেখযোগ্য পরিষেবা হল অ্যাম্বুলেন্স। নূন্যতম অর্থে দ্রুততার সাথে রোগীকে তার গম্তব্যে পৌছে দিতে বদ্ধ পরিকর রায়গঞ্জ পৌরসভা পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্স। তাতে সংযোজন নিখরচায় মাতৃযান পরিষেবা।
আরও পড়ুন – বাবার আমলের সমালোচনা উদয়ন গুহের
রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস জানান, পৌরসভার অধীনে অত্যাধুনিক ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স সহ বর্তমানে ৩ টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ট্রমা কেয়ার অ্যম্বুলেন্স টি চালু হওয়ায় বহু মূমুর্ষ রোগীর প্রান বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। চালক ও কর্মীরাও দিবা রাত্রি পরিষেবা দিতে তৎপর। ৩ টি ছাড়াও আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স যেটি বিকল রয়েছে যেটি সারাইয়ের পাশাপাশি নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সন্দীপ বাবু। তিনি আরও জানান, করোনা কালে বিগত ২ বছর বিনামূল্যে কোভিড রোগীদের পরিষেবা দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স চালক ও কর্মী। যার দ্বারা উৎসাহ আরও বেড়েছে কর্মীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন – অ্যাডমিট কার্ডের বিভ্রান্তিতে পরীক্ষায় বসতে পারলো না এক পরীক্ষার্থী
রায়গঞ্জ পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ঘিরে খুশী শহরবাসী। সুস্মিতা রায় নামের এক প্রৌঢ়া জানান, বাড়িতে হঠাৎঅসুস্থতার কারনে অচৈতন্য হয়ে পরেছিলে। সেসময় ত্রাতার ভূমিকায় তৎপরতার সাথে তাকে সময়মত হাসপাতালে পৌছে দিয়ে তার প্রান বাঁচায় পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স। কিছুদিন আগে একটি পথ দূর্ঘটনায় মরনাপন্ন অবস্থা হয়েছিল শুভঙ্কর পোদ্দার নামের রায়গঞ্জের এক যুবকের। তখন পৌরসভার ট্রমাকেয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার জেরে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা
করজোরে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন শুভঙ্কর বাবু। কোভিড কালে পৌরসভার এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার দ্বারা উপকৃত হয়েছিলেন তপতী সরকার ব্যানার্জী নামের এক গৃহবধূ ও তার স্বামী। তিনিও পৌরসভার এই পরিষেবায় সন্তুষ্ট। আগামীতে বৃহত্তর পরিসরে এধরনের পরিষেবা দিতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে রায়গঞ্জ পৌরসভা সূত্রের খবর। ফলে আশাবাদী শহরের সাধারন নাগরিক।