নিউজ ডেস্ক : আবারো বধূ নির্যাতনের অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই অধ্যাপকও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত। ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পরে গিয়েছে রায়গঞ্জে। অভিযুক্ত জুওলজি বিভাগের ঐ অধ্যাপকের নাম বিবেক রায়। তার বাড়ি কোচবিহার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডে। অধ্যাপকের স্ত্রী রিমু রায় সরকার বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পরুন- অলৌকিকতায় হতবাক গ্রামবাসী
তিনি জানান, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের কদিন বাদেই রায়গঞ্জে চলে আসেন বিবেক। তারপর আর তিনি স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করছেন না। পাশাপাশি ঐ অধ্যাপক ও তার গোটা পরিবার মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। তাকে খুনের চেস্টারও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এদিন দুপুরে তিনি স্বামীর সাথে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছলে সেখানেও তাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। তার কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন রিমু রায় সরকার।
আরও পরুন- সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে
এদিন মহিলার বাবা নৃপেন রায় সরকারও আসেন থানায়। তিনি জানান, বিয়ের সময় ১৭ লক্ষ টাকা, অত্যাধুনিক দামী গাড়ি, প্রচুর সোনা পন দিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের পর মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইছে না জামাই। মেয়ের ভরন পোষনের কিছুই দিচ্ছে না। যার জেরে অসহায়তার মধ্যে পরেছে মেয়ে।
আরও পরুন- জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত অধ্যাপকের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও আমরা কথা বলেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের প্রধান পার্থ সারথী নন্দীর সাথে। তিনি জানান বিবেক যথেষ্ট নম্র ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। বিভাগে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে সন্দীহান তিনি।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গতঃ গত মাসখানেক আগে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাপস পালের বিরুদ্ধে। যাকে ঘিরে উদ্বিগ্ন পড়ুয়া ও অভিভাবকরাও।