নিউজ ডেস্ক : রামায়নে উল্লেখ রয়েছে যুদ্ধ জয়ের জন্য রামচন্দ্র দেবী দূর্গার অকাল বোধন করেছিলেন।যা বাসন্তী পুজা হিসাবে পরিচিত।বসন্তের সেই পুজো দোরগোড়ায়।ইতিমধ্য বাসন্তি পুজোকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গেছে নবরাত্রি।আর বাসন্তি পুজোর প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গের শিক্ষকরা ঢাক বাজিয়ে মাতলেন আবির খেলায়।না,উৎসবের আমেজ থাকলেও এ ঢাক বা আাবির খেলা কেনও দেবীর আবাহনকে ঘিরে নয়।এ এক অভিনব বিরোধিতার পন্থা।কিন্তু কেন এমন অভিনব পন্থা গ্রহন করলেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে আর্থিক প্রতারণাচক্র
১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন শিক্ষকরা।বকেয়া ডিএ র দাবিতে একদিকে কলকাতায় শহিদ মিনার চত্বরে অনশন আন্দোলন অন্যদিকে ধর্মঘটের ডাক।রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষনা করে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন শিক্ষক সমাজ।আর শিক্ষক থেকে সরকারি কর্মী সকলে ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় কড়া মনোভাব নেয় রাজ্য সরকার।শুরু হয় ধর্মঘটে সামিল হওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরীর কাজ।আর এরপরই তালিকা অনুযায়ী কর্মীদের পাঠানো হয় শোকজ।
আরও পড়ুন পৌর পরিষেবা ঘিরে বিক্ষোভের মুখে চেয়ারম্যান
রায়গঞ্জ দক্ষিন চক্রে প্রায় ১৪২ জন শিক্ষককে ১০ মার্চ কাজে যোগ না দেওয়ার কারনে শোকজ করা হয়।শুক্রবার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে রীতিমত ঢাক বাজিয়ে আবির খেলে উৎসবের মেজাজে শোকজের উত্তর জমা দেন শিক্ষকরা।এবিষয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কি জানালেন
আরও পড়ুন সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে
অন্যদিকে একই ছবি জলপাইগুঠি জেলাতেও।সেখানেও উড়লো লাল আবির। তার সাথে চললো মিষ্টি মুখ। শোকজের জবার দিতে এসে স্কুল ইন্সপেক্টরের দপ্তরে এই ভাবেই অকাল হোলিতে মাতলো বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।