নিউজ ডেস্ক :অ্যাডমিট কার্ডের বিভ্রান্তিতে ভবিষ্যৎ সংকটে পড়লো এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর৷ অ্যাডমিট কার্ডে চতুর্থ বিষয়ের উল্লেখ না থাকায় শনিবার বসতে পারলো না পরীক্ষায়।ঘটনায় র আঙ্গুল উঠেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার চাঁচলের থাহাহাটি এলাকায়৷জানা গিয়েছে থাহাহাটি মাদ্রাসার ছাত্রী শবনম খাতুনের পরীক্ষার সিট পড়েছে শীতলপুর হাইস্কুলে৷
আরও পড়ুন উৎসবের মেজাজে শোকজের জবাব দিলেন শিক্ষকরা
শনিবার ছিল চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা৷ কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার কোনও উল্লেখ না থাকায় এদিন তাকে শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। গোটা ঘটনাতেই গাফিলতির অভিযোগ এনেছে নিজের স্কুল থাহাহাটি হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শবনম খাতুন অভিযোগ করেছেন, চতুর্থ বিষয় হিসেবে আরবি ফর্ম ফিলাপের উল্লেখ করেছিল।চেক লিস্টেও তার উল্লেখ রয়েছে৷ কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার উল্লেখ না থাকায় সমস্যার বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়। কিন্তু এডমিট কার্ডে বিষয়ের উল্লেখ না থাকায় এদিন তাকে শীতলপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। এরপরই চেকলিস্ট দেখার জন্যে মাদ্রাসায় এলে দেখে তার বিষয়ের জায়গাটি মুছে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা
এমনকি এনিয়ে তার দাদার সঙ্গে বচসা বেধে যায়। তার দাদাকে নিগ্রহ করার পাশাপাশি মোবাইল ফেলে দেওয়া বলে অভিযোগ করেছেন শাবনুরযদিও শীতলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইনুর হক জানিয়েছেন, ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে চতুর্থ বিষয়ের কোনও উল্লেখ ছিল না৷ ফলে কাউন্সিলের আইন মেনেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি অন্যদিকে গোটা ঘটনায় থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন পরীক্ষার্থীর দাদা আকাশ খান। আমি মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন সংস্কারকাজের সুচনা না হওয়ায় ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভে গ্রামবাসী
যদিও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি থাহাহাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুসলেমুদ্দিন আহমেদ। এমনকী মাদ্রাসায় প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের।