নিউজ ডেস্ক , ৩০ মার্চ : দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। আগামী ১ এপ্রিল রাজ্যের ৩০টি আসনে ভোট। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে তৎপর কমিশন। দ্বিতীয় দফায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ১০ হাজার ৬২০টি বুথে হবে ভোটগ্রহণ।
নন্দীগ্রাম ছাড়াও ভোট হবে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ৩০ আসনে। আর এদিনই ভোটগ্রহণ পর্বে মোতায়েন থাকবে ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারমধ্যে বঙ্গ রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম বিধানসভার নিরাপত্তার দায়িত্বেই থাকবে ২১ কোম্পানি আধাসেনা। দ্বিতীয় দফায় দুই জেলায় মোট ৬৫১ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাঁকুড়ায় ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকছে ৭২ কোম্পানি আধাসেনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা রুখতে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ছয় কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে ভোটের পরেও। এছাড়াও এই দফায় মোট ৭৫০টি সেক্টর থাকছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা নির্দিষ্ট দায়িত্বে থাকবেন। ৬২৪টি কুইক রেসপন্স টিম রাখা হচ্ছে। এছাড়াও হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড-সহ, সর্বত্র নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি ভোটের আগের রাতে পেট্রোলিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পটাশপুর ও কেশিয়াড়ির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই রাতের দিকে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আঘাত হানলে গুলি করারও নিদান দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কমিশন।