নিউজ ডেস্ক,২৫ইজানুয়ারিঃবৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন আপামর মানুষ। গৃহস্থ বাড়ি থেকে শুরু করে বারোয়ারি ক্লাব কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই সাজো সাজো রব। চলছে পুজো পুজো প্রস্তুতি। একই ভাবে প্রস্তুতি তুঙ্গে কুমোরটুলিতেও। শীতের মরশুমে দিন রাত এক করে চলছে প্রতিমা সজ্জ্বার কাজ। হাতে আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তাই পুজোর একদিন আগে প্রতিমা ডেলিভারির তৎপরতা তুঙ্গে। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই ছবি রায়গঞ্জ শহরের কুমোরটুলিতেও। রায়গঞ্জের কুমোরটুলি হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপল্লী এলাকা। এই এলাকার একাধিক মানুষ এই পেশার সাথেই যুক্ত। তাই এখন মৃৎশিল্পালয় গুলিতে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। ছোট, বড়, মাঝারি বিভিন্ন আকৃতির প্রচুর প্রতিমা এবছটে তৈরী করা হয়েছে। অর্ডার ছাড়াও খুচরো বাজারে বিক্রির জন্যও রয়েছে একাধিক প্রতিমা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সব প্রতিমা সরবরাহ করতে না পারলে ফের ক্ষতির মুখে পরতে হবে। তাই একেবারেই সময় নষ্ট না করে চলছে প্রতিমার কাজ। মৃৎশিল্পীরা জানান, গত ২ বছর করোনার জন্য প্রচুর লোকসান হয়েছে তাদের। রুজি রুটিতে টান পরেছিল পুজোর মরশুম গুলিতে। মূলতঃ সরস্বতী পুজো উপলক্ষে রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা বেশীরভাগ নির্ভর করে থাকে বিহারের উপরে। কেননা রায়গঞ্জ সংলগ্ন বিহারের বারসই, ছাপড়া, কাটিহার, সালমারি সহ একাংশের মানুষ প্রতিমা কিনতে আসেন রায়গঞ্জ শহরে। কেননা বিহারের তুলনায় এখানে যেমন প্রতিমার কারুকার্যে ভ্যারাইটি মেলে তেমন দামও থাকে নাগালের মধ্যে। কিন্তু গত ২ বছর ট্রেন বন্ধ থাকায় বিহারে প্রতিমা তেমন সরবরাহ করা যায়নি। তবে এবছরে সেই বাধা কেটে যাওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পীদের। তাদের দাবী বেচাকেনা বেশ ভালে হচ্ছে। রাত জেগে চলছে কাজ।যদিও মৃৎশিল্পীদের একাংশের দাবী, এবছরে চাহিদা উর্ধমুখী থাকলেও, প্রতিমার দাম নিয়ে খানিকটা হতাশা রয়েছে। গত ২ বছরে লকডাউনে দাম পরে যাওয়ায় তার প্রভাব এবছরেও কিছুটা রয়ে গিয়েছে বলে দাবী অনেকের।তবে প্রতিমার দাম কিছুটা নামলেও চাহিদার হার যে তার দ্বিগুন ভরিয়ে দেবে তা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী রায়গঞ্জের কুমোরটুলি।
কুমোরটুলিতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে
