নিজস্ব সংবাদদাতা , মালদা , ১১ মার্চ : স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী সহ শ্বশুর শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনায় চাঞ্চল্যমালদার ইংরেজবাজার শহরের পুরাটুলি বাধরোড সংলগ্ন হঠাৎ কলোনি এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় রায়ের সাথে বিয়ে হয় পুরাটুলি এলাকার বাসিন্দা
বৃন্দাবনী মন্ডলের । বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বামীর অন্য একজনের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পারে সে। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা।প্রতিবাদ করায় তাকে মারধোরও করত বলে জানা গিয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরেই সেখান থেকে পুরাটুলিতে বাবার কাছে চলে আসে বৃন্দাবনী। সঞ্জয় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও সে যায়নি। এরপরেই বুধবার রাতে চুপিসাড়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে ছুরির আঘাতে জখম হয় শ্বশুর ও শাশুড়িও।হট্টগোলের আওয়াজে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় সে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেযে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় আক্রান্ত গৃহবধুর দাদা রাজু মন্ডল জানিয়েছেন, বোনকে বিয়ের আগে থেকেই সঞ্জয়ের অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ছিল। এমনকী তাদের বিয়েও হয়ে গিয়েছিল। গোটা বিষয়টি গোপনে রেখে বোনকে বিয়ে করে সে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই সে অত্যাচার করত বোনের ওপর। মাস তিনেক আগে বোন বাড়িতে ফিরেও আসে। তবে প্রায়শই সঞ্জয় এসে নিয়ে যেতে চাইত, কিন্তু বোন রাজী ছিল না। এমনকী তার সঙ্গে বিয়েও ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল। এরপরেই গতকাল রাতে চুপিসাড়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। সবাই ঘুমিয়ে পড়তেই বোনের ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। চিৎকারের আওয়াজে মা-বাবা বোনকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। হই হট্টগোলের আওয়াজে বাড়ির সবাই ছুটে এলে পালিয়ে যায় সঞ্জয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে।যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সঞ্জয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।