নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ ,১৭ই মে :নদীর স্রোতের মতন বয়ে যায় সময় কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়না। ভোট আসে ভোট যায়। পরিবর্তন হয় ঋতুর। কিন্তু রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটায় কুলিক নদী বাঁধের সমস্যা এখন জ্বলজ্বল করছে। বছর ঘুরতে চললেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।
গত একবছর আগে আরসিটিভি সংবাদে সম্প্রচারিত হয় এই বাঁধের রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির খবর। তারপর প্রশাসনের টনক নড়েছিল বটে। বালির বস্তা দিয়ে ক্ষত ঢাকা হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার একই পরিস্থিতি। রাস্তা নাকি মরণফাঁদ এই প্রশ্নই উঠে আসছে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে। প্রসঙ্গতঃ রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নং কমলাবাড়ি (১) আব্দুল ঘাটায় জাতীয় সড়ক থেকে মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাস পর্যন্ত ২ কিমি বিস্তৃত কুলিক নদীর বাঁধ। এই পথ দিয়ে আব্দুলঘাটা, বামুহা, চন্ডীতলা সহ একাধিক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। চলাচল করেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও। এমন একটু রাস্তার এই অবস্থা ঘিরে স্থানীয় জনমানসে বাড়ছে ক্ষোভ। গতবছর কিছুটা সংস্কার হলেও তার স্থায়ী সমাধান হয়নি।
ছোট্ট কলি পাড়ি দিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে
এদিকে সামনে আবার আসছে বর্ষা। যার জেরে বেশ চিন্তিত মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত দে, বিশ্বজিৎ বর্মনরা জানান, বাঁধের পরিস্থিতি একেবারে ভালো নয়। বাঁধের উপরে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত, খানা খন্দ। অতি শীঘ্রই পদক্ষেপ না নিলে বন্যায় বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারন মানুষ।স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বাঁধের এই বেহাল অবস্থার হাল ফেরাতে পঞ্চায়েতের তরফে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সবুজ সংকেতও মিলেছে বলে জানান প্রশান্ত বাবু।
তাপপ্রবাহের জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষনা
আজও বাঁধের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বছর খানেক আগে আরসিটিভি সংবাদের খবরের জেরে ক্ষতস্থানে প্রলেপ পরলেও বছর ঘুরতেই একই অবস্থা। ফেট রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটায় কুলিক নদীর বাঁধ তথা রাস্তার এমনই ছবি ধরা পরেছে। কবে মিটবে সমস্যা প্রশ্ন এলাকাবাসীর।