নিউজ ডেস্ক , ০২ মার্চ : দক্ষিণ পশ্চিম রেলকে ডবলট্র্যাক করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল মন্ত্রক।তবে এই ট্র্যাকের জন্য কাটা পড়তে চলেছে গোয়ার ১৪০ হেক্টর জমির অরণ্য। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ গোয়ার ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি এবং মোল্লেম জাতীয় উদ্যান। অরণ্যচ্ছেদনের কারণে এই প্রকল্পে আপত্তি তুলেছে পরিবেশবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
যদিও সেই সব আপত্তিকে এক প্রকার সরিয়ে দিয়ে সম্প্রতি এই প্রকল্পে ছাড়পত্র দিল পরিবেশ, অরণ্য এবং জলবায়ু মন্ত্রালয়।উল্লেখ্য উত্তর কর্ণাটকের ক্যাসেল রক থেকে দক্ষিণ গোয়ার কুলেম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ডবল ট্র্যাকিংয়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২১ হেক্টর জমি। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি গোয়ার অরণ্য বিভাগের প্রধান সচিব প্রাথমিক পর্যায়ের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন এই প্রকল্পে। সম্প্রতি এতেই শীলমোহর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। তাছাড়াও দক্ষিণ গোয়ার কুলেম থেকে মারাগাঁও রেলস্টেশনের মধ্যে ডবল ট্র্যাকিংয়ের জন্য ছাঁটা হবে আরও ১৮ হেক্টর জমির অরণ্য।পাশাপাশি জাতীয় সড়ক-সহ চারটি এক্সপ্রেসওয়ে এবং গোয়া-ইয়ামার বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন প্রকল্পের জন্য বৃক্ষচ্ছেদনে সম্মতি দিয়েছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই সরকারি প্রকল্পে বৃক্ষচ্ছেদনের জন্য লাগাতার আন্দোলন চলছে গোয়াতে। উঠে আসছে সরকারি প্রকল্পে কাটা পড়া পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অরণ্যের কথাও। যার মধ্যে রয়েছে বিরল কিছু গাছের প্রজাতিও। ফলে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছে পরিবেশবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা। যদিও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত পরিবেশ ধ্বংসের সম্ভাবনাকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তার মতে এই প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হলে গোয়ার সামাজিক-আর্থনৈতিক ছবি অনেকটাই পাল্টে যাবে।পাশাপাশি প্রতিবাদীরা অধিকাংশটাই এই বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নয় বলে দাবী তার।যদিও এই প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হলে সমাজের নীচু শ্রেণির মানুষের কতটা উপকার হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।