নিজস্ব সংবাদদাতা , রতুয়া , ০৭ নভেম্বর : বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোহড়াতলা গ্রামে। ওই গৃহবধূর নাম নাসিমা খাতুন। প্রায় সাত মাস আগে রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোহরাতোলা গ্রামের যুবক সাহেব আলীর সাথে প্রণয় থেকে বিয়ে হয় নাসিমা। বিয়ের পর থেকেই নাসিমার ওপর অত্যাচার শুরু করে সাহেব ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
তাকে ছাদ থেকেও ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে জখম নাসিমাকে চিকিৎসা করাচ্ছেন তার পরিবারের লোকেরা। শনিবার রতুয়া থানায় অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয় নাসিমাকে। জামাই মোঃ সাহেব সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রতুয়া থানায়। উল্লেখ্য, প্রায় সাত মাস আগে রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোহরাতোলা গ্রামের যুবক সাহেব আলীর সাথে পরিচয় হয় নাসিমার। একে অপরকে ভালোবেসে বাড়ির অমতে বিয়ে করে দুজন। এরপর মাসখানেক সাহেব নাসিমাকে সামসী এলাকায় এক ভাড়া বাড়িতে প্রায় মাসখানেক থাকতেন। তারপর নাসিমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে রেখে দিয়ে সাহেব নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। নাসিমার সাথে বিয়ের ব্যাপারে সাহেব নিজের বাড়িতে কাউকে কিছুই বলেনি। এর মাঝে সাহেবের পরিবারের লোকজন সাহেবের বিয়ের জন্য অন্য বিভিন্ন জায়গায় সম্বন্ধ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিষয়টি নাসিমা জানতে পেরে সাহেবের বাড়িতে এসে হাজির হয়। তবে সাহেবের বাড়ির লোকজনেরা নাসিমাকে ঘরে উঠতে দেয়নি। এরপর নাসিমা সাহেবের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে। এরপর পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে নাসিমাকে ঘরে তুলতে বাধ্য হয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা।
এ প্রসঙ্গে নাসিমার মা শাকিলা বিবি জানান, আমার মেয়ে নাসিমা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল সামসীর সোহড়াতোলার যুবক মোঃ সাহেবের সাথে। প্রেম করে বিয়ে করার ফলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই বিয়ে মানতে নারাজ। মেয়ের উপরে তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। তবে ঘটনাক্রমে কোন রকমে বেঁচে গেলে পা এবং কোমরে আঘাত লাগে। এই ঘটনার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আমার মেয়েকে হাসপাতালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে তারা কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। এখন নিজের বাড়িতেই মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। শনিবার রতুয়া থানায় অ্যাম্বুলেন্সে করে মেয়েকে নিয়ে এসেছি। জামাই মোঃ সাহেব সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।