নিউজ ডেস্ক , রতুয়া , ২৪ সেপ্টেম্বর : কাগজের ব্যাগ তৈরি করে সে এখন গোটা দেশে খবরের শিরোনামে। আর সেই ব্যাগ তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে মালদা জেলার রতুয়ার আত্মজা। এবারে তার লক্ষ্য হল গিনেস বুক। মেয়েকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে কোন খামতি রাখছেন না বাবা মা।
গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কাগজের ব্যাগ তৈরি করে সে এখন খবরের শিরোনামে। তার তৈরি কাগজের ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। শংসাপত্রও মেলের মাধ্যমে হাতে পেয়েছে সে। এবারে তার লক্ষ্য গিনেস বুক। তার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ৭ বছর বয়সেই কাগজের ব্যাগ তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছে সে পাশাপাশি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ায় ভীষণ খুশি ছোট্ট আত্মজা৷ মেয়েকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে কোন খামতি রাখছেন না বাবা মা। বাবা বাবুসোনা সরকার পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রতুয়ার বাহারাল এলাকার একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত তিনি। চাকরি সূত্রে ৬ মাস আগেই রানাঘাট থেকে পরিবার নিয়ে মালদা জেলায় আসুন তিনি। বর্তমানে তারা থাকেন রতুয়ার নাপিত পাড়া এলাকায়। মা মৌসুমী কর হস্তশিল্পী। সরকারি মান্যতা পেয়েছেন তিনি। সংসার সামলে নিত্যনতুন জিনিস তৈরি করেন তিনি। তার কাছেই এই শিল্পের শিক্ষা পেয়েছে মেয়ে আত্মজা। প্রসঙ্গত করোনার জেরে গোটা দেশে জারি ছিল লকডাউন। সেই সময় শিশুদের মানসিক বিকাশ যে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা একবাক্যে স্বীকার করেন মনোবিদরা৷ অদ্ভুতভাবে সেই লকডাউনই আত্মজার কাছে নতুন একটা দরজা খুলে দিয়েছিল৷ তা হল শিল্পের৷ নিজের শৈল্পিক সত্তা বিকাশের৷ মাধ্যম ছিলেন অবশ্যই মা৷ এ ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত মৌসুমিদেবী।অপরদিকে মেয়ের এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বাবুসোনা বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পর এবারে লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এবিষয়ে আত্মজা ইতিমধ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।ইতিমধ্যেই গত ৬ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে আত্মজাকে ই-মেইল করে জানানো হয়, তার তৈরি কাগজের ব্যাগ দেশের সবচেয়ে ছোট ব্যাগ হিসাবে মান্যতা পেয়েছে৷ তার জন্য আত্মজাকে একটি শংসাপত্রও পাঠানো হয়েছে৷ ২০২৪ সালের রেকর্ড বুকে তার নাম উঠবে৷