ডিজিটাল ডেস্কঃ মহেশতলার (Maheshtala) অশান্তির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কেউ যেন সরকারি কিংবা দলের সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হন। শনিবার সকাল থেকেই দলের স্থানীয় কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখারও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। স্থানীয়দের মধ্যে যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে কর্মীদের। বুধবার বিকেল থেকে মহেশতলা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, দোকান বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা, যা দ্রুত বড় আকার নেয়। বেশ কিছু দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গেলে, উন্মত্ত জনতা পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করে। ঘটনায় জখম হন একাধিক পুলিশকর্মী। গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত।
আরও পড়ুনঃ আমদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোক ইউটিউবের, হোমপেজে বিশেষ বার্তা
ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ মিলিয়ে সাতটি মামলা দায়ের করে এবং এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে বৃহস্পতিবারই মহেশতলা সংলগ্ন এলাকা বজবজ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive Materials) উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ধৃত ৫ জনের মধ্যে অন্যতম নবীন চন্দ্র রায় (Nabin Chandra Roy)। পুলিশ সূত্রের দাবি, নবীন আরএসএস (RSS) এবং বিজেপির (BJP) সক্রিয় কর্মী। তিনি রামনবমীর (Ram Navami) দিন সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। ভিডিও ফুটেজেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত আরও চরমে উঠেছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “আরএসএস-বিজেপি কর্মী ধরা পড়েছে, বুঝতেই পারছেন এদের উদ্দেশ্য কী। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।” পাশাপাশি কুণাল আরও জানান, দলের পক্ষ থেকে কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই মহেশতলার শান্তি বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে বিজেপি (BJP) এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের সরাসরি জবাব দেয়নি। তবে মহেশতলার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট।