নিউজ ডেস্ক, ০২ জুন : করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের জিডিপি। চল্লিশ বছরে এই প্রথম কমেছে দেশের জিডিপি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানান হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ৭.৩ শতাংশ। তবে আরও একটা বছরে অর্থনীতি যাতে ভঙ্গুর না হয়ে পড়ে এর জন্য মঙ্গলবার কেন্দ্রকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
জিডিপির হার নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এই বিষয়ে চিদম্বরম বলেন, “২০২০-২১ অর্থবর্ষ গত ৪ দশকের মধ্যে সবথেকে অন্ধকার বছর ছিল ভারতের জন্য। এই অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিক এই পরিস্থিতির বয়ান করে। প্রথম দুই ত্রৈমাসিকের জেরে দেশে মন্দা নেমে আসে। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিক সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারেনি দেশকে।”বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে এবং খরচ করার বিধান দিয়েছেন৷ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কথায়, রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে না ভেবে খরচ করুন। দরকার পড়লে ধার করে বা ছাপিয়ে, যেভাবেই হোক, টাকা খরচ করুন।উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে মার্চ-এই অর্থবর্ষের চতুর্থ তথা শেষ ত্রৈমাসিকে গড় উৎপাদন কিছুটা হলেও বেড়েছিল ভারতে। অবশ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হার ১.৬ শতাংশ বাড়লেও সামগ্রিক অবক্ষয় অবশ্য আটকানো যায়নি। ২০২১-২১ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৮ শতাংশ সংকুচিত হতে চলেছে বলে আগে থেকেই আভাস দিয়েছিল পরিসংখ্যান দফতর। তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল এই সংকোচন হতে পারে ৭.৫ শতাংশ। করোনার জেরে প্রথম ত্রৈমাসিকেই দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছিল। জিডিপি এক ধাক্কায় কমে গিয়েছিল ২৪ শতাংশ। ক্ষতটা ছিল পরের মরসুমেও। তখন সংকোচন হার ছিল ৭.৪ শতাংশ। যদিও অক্টোবর-ডিসেম্বর, এই ত্রৈমাসিকে ছিল ০.৫ শতাংশ ও জানুয়ারি-মার্চে তা ছিল ও ১.৬ শতাংশ।