চাঁচল, ১১ জুন : গোপনসুত্রে খবর পেয়ে বেআইনিভাবে নদী থেকে বালি ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুটি ট্রলিকে আটক করলো চাঁচলের মহকুমাশাসক। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে মহানন্দা নদী থেকে বালি কেটে নিয়ে অন্যত্র পাচার করার অভিযোগ আসছিল প্রশাসনের কাছে।
চাঁচলের মাধবপুর নদীঘাট এলাকায় মাটি কাটার জন্য তিনজনের রয়্যালটি অনুমোদেন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরবাইরেও নদীঘাট থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। নাজিমূল হক নামে এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নদী শুকনো হোক কিংবা জলে ভর্তি যে যার ইচ্ছে মত বালি কেটে নিয়ে চলে যায়। ফলে বন্যার সময় অসুবিধেয় পড়তে হয় নদী তীরভূমি এলাকার বাসিন্দাদের।এরপরেই শুক্রবার বেআইনীভাবে নদীঘাটের মাটি কাটার খবর পেয়ে
মালদা-উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী চাঁচল থানার আশাপুরের মাধবপুর এলাকায় নদীঘাটে অভিযান চালায়মহকুমাশাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা।সেখানেই নাকা চেকিং পয়েন্টে দুটি বালিভর্তি টলি আটক করেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল। ট্রলিচালকদের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল, ট্রলিচালকদের কাছ থেকে কোন বালি তোলার কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। ফলে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও ট্রলি চালক মহিবুল আলি জানিয়েছেন, তারা মালিকপক্ষের নির্দেশ মত এই নদীঘাটে মাটি কাটতে এসেছিলেন।