নিউজ ডেস্ক , ১২ নভেম্বর : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে একটি পোস্ট রিটুইট করে সমালোচনার ঝড় ওঠায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস। তবে সে কথা মানতে নারাজ ইমরানের দল পিটিআই।ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস বুধবার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চায় বলে জানা গেছে।
ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে তারা জানাচ্ছে যে, দূতাবাসের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে অনুমতি ছাড়াই কেউ ঢুকেছিল।এই জাতীয় ট্যুইট অনুমোদন দেওয়া হয় না দুতাবাস থেকে।গত মঙ্গলবার পিএমএল-এন নেতা আহসান ইকবালের একটি টুইটার পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। তিনি তাঁর টুইটারে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। ওই নিবন্ধের শিরোনামে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পরাজয় বিশ্বের বক্তৃতাবাগীশ ও স্বৈরশাসকদের জন্য একটি ধাক্কা।পিএমএল-এন নেতা আহসান ইকবালের এই টুইটটি রিটুইট করে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস স্ক্রিনশট শেয়ার করে ইকবাল লেখেন, পাকিস্তানেও একজন আছেন। শিগগিরই তাঁকে বিদায়ের পথ ধদেখানো হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইঙ্গিত করে ইকবাল ওই কথা লিখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ইকবালের টুইটটি রিটুইট করা হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তান সরকার ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসকে কূটনৈতিক নিয়মনীতি মানতে ও ক্ষমা চাইতে বলা হয়।পরে দূতাবাস টুইটটি মুছে দেয়। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া র পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়া হয়।তবে তাতে পাকিস্তান সরকার বা ইমরানের দল সন্তোষ নয় বলেই মনে হচ্ছে।