হরিশ্চন্দ্রপুর, ৬জুন : আর পাঁচটা সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর মতই বেড়ে উঠছিল ছোট নুর। কিন্তু আচমকাই একবছর আগে শরীরে বাসা বাঁধে জটিল রোগ। মেয়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত পেশায় দিনমজুর বাবা নুর সালাম।হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রক গ্রামের বাসিন্দা নুর সালামের প্রথম সন্তান নুর ফাতেমা একবছর আগেই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।
হাত পা অকেজো হয়ে পড়ে। হারিয়ে যায় বাক শক্তি।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছটফটে নুর ফাতেমা এখন বিছানায় শুয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। সুদে টাকা ধার দেনা করে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এলাকার একাধিক চিকিৎসককে দেখানো হলেও তারা রোগটিকে চিহ্নিত করতে পারছে না। চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া আশু প্রয়োজন। কিন্তু বাঁধ সেধেছে পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা। লকডাউনে সেভাবে কাজ না থাকায় তিনবেলা খাওয়ার জোগানোটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে নুর সালামের কাছে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করলেও এখনও তা হাতে মেলেনি। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাছে ছোট্ট নুর ফাতেমা। মেয়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সহৃদয় সংস্থা কিংবা ব্যক্তির কাছে আবেদন জানিয়েছেন নুর সালাম। নুর ফাতেমার মা অঞ্জলি খাতুন বলেন, একবছর ধরে মেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত। চাঁচল এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে বহু ডাক্তার দেখানো হলেও কেউ সঠিক রোগ ধরতে পারেনি। বাইরে নিয়ে যেতে বললেও সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই তাদের। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও হয়নি এই অবস্থায় সরকারী সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আসমাউল হক বলেন, মেয়েটির বাবা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতো। লকডাউনের পর থেকে এখানেই আছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর স্লিপ এখনো পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তা করা হবে।অপরদিকে এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের বিডিও পার্থ দাস বলেন,আগামীতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরী হলে, এই পরিবারটি যাতে কার্ডটি পায় তা খেয়াল রাখা হবে। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সবরকম সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও পার্থ দাস।