নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ ,২০ই মে :বিগত ২০ বছর থেকে নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজি করেও খুঁজে পাননি বাড়ির লোক। দীর্ঘ প্রয়াসের পর তাকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন সকলে। অবশেষে যেন সূর্য উদয় হল শুক্রবার।
মালদার মানিকচকের ভূতনি থানার আচমকা একটি ফোনে আতকে ওঠে সকলে। খবর মিলতেই সকলে ছুটে যায় ভূতনি থানায়। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর এক পলক দেখায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পরিবারের লোকেরা। জানা গিয়েছে, ১২ বছর বয়সে মানিকচকের ভুতনি থানার পুলিনটোলা গ্রাম থেকে আচমকাই হারিয়ে যায় চন্দনা মন্ডল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিগত কুড়ি বছর আগে চন্দনা মন্ডল আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। মানসিক দিক থেকে খানিকটা ভারসাম্যহীন। দীর্ঘসময় এশহর ওশহর ঘুরতে ঘুরতে সে পৌঁছে যায় মুম্বাই শহরে। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করত মানসিক ভারসাম্যহীন চন্দনা মন্ডল।
মাধ্যমিকে ষষ্ঠ দক্ষিণ দিনাজপুরের সতীর্থ
তবে আবারো ভাগ্যের চাকা ঘোরে চন্দনা মন্ডলের, তবে প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর পর। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা চন্দনা মন্ডলকে রাস্তার ধারে দেখতে পায়। কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ছত্রছায়ায় রাখা হয় চন্দনাকে। কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর বাড়ির খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করে সেই সংস্থার সদস্যরা। প্রথমদিকে মালদা এবং বিহারের কথা জানায় চন্দনা। তারপরও বেশ কিছুদিন কেটে যায়, তবে শেষ পর্যন্ত ভুতনি এলাকার কথা চন্দনা। অবশেষে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা দীর্ঘ প্রয়াসের পর মায়ানগরী মুম্বাই থেকে তাকে নিয়ে আসে মালদা শহরে। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় ভুতনি থানায়। ভূতনি থানার ওসি কুনাল কান্তি দাস এবং পুলিশ আধিকারিক কানাই চক্রবর্তী চন্দনার পরিবারের লোকজনের সন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে খোঁজ পাওয়া যায় তার পরিবারের।
কালিয়াগঞ্জের অ্যাম্বুলেন্স কান্ডে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহায়তা প্রদান কংগ্রেসের
পুলিশ চন্দনার বাড়িতে খবর দেয় এবং তার পরিবারের লোকজন পৌঁছায় ভূতনি থানায়। দীর্ঘ ২০ বছর পর বাড়ির মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার পর আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় হতবাক পাড়া প্রতিবেশীরা। বর্তমানে চন্দনা মন্ডলের বয়স ৩২ বছর। যদিও সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পুলিশকর্মীদের ভূমিকায় খুশি ভুতনি এলাকার মানুষজন। শুক্রবার রাতে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার পর ভুতনি থানার পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতে চন্দনা মন্ডলকে তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের হাতে। হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।