মালদা, ২৮ আগস্ট : কালিয়াচকের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রায় আড়াই মাসের মাথায় পেশ করা হল চার্জশীট। শনিবার ঘটনার ৭০দিনের মাথায় চার্জশীট পেশ করলো তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা।বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বোনকে খুন করার অভিযোগ ওঠে মালদার কালিয়াচকের পুরনো ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা বছর উনিশের মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে।
একই সঙ্গে তার দাদাকেও খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য গত ১৯শে জুন আসিফের বাড়ি থেকে তাঁর বাবা জাওয়াদ আলি , মা ইরা বিবি, বোন রিমা খাতুন এবং ঠাকুমা আলেক নুর বেওয়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিনই কালিয়াচকের পুরানো ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা আরিফ মোহম্মদ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে যে, তার বাবা, মা, দিদিমা ও বোনকে খুন করেছে তার ভাই আসিফ মহম্মদই। তবে আরিফ কোনওমতে পালিয়ে যান সেখান থেকে। গোটা হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩ মাস পর আরিফ পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। ঘটনায় অভিযুক্ত আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতদেহের নমুনা সামগ্রী উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় খুনের কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম।জেরায় খুন করার অভিযোগ স্বীকার করার পাশাপাশি খুনের পদ্ধতিও জানিয়ে দেয় পুলিশকে।এই ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসিফের ২ বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। বর্তমানে আসিফ জেল হেফাজতেরয়েছে।ঘটনার প্রায় ৭০দিনের মাথায় শনিবার জেলা পুলিশ চার্জশিট দেয়।ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং প্রমাণ লোপাটের ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।২৭৩ পাতার চার্জশিটে কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতার কথা তুলে ধরেছেন তদন্তকারীরা। এবিষয়ে মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, খুন, খুনের চেষ্টা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে আসিফের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪ জন সাক্ষীর। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।