নিউজ ডেস্ক , ১৬ ডিসেম্বর : তিন বছর জেলে থাকার পর জাপানের ‘ ট্যুইটার কিলার’ তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ২০১৭ সালেই কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলার পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল। তিন বছর ধরে শুনানি চলার পর টোকিওর আদালত মঙ্গলবার ৩০ বছর বয়সী তাকাহিরো শিরাইশির সাজা ঘোষণা করে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় শুনতে এদিন আদালত চত্বরে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
আদালতকক্ষে আমজনতার জন্য ১৬টি আসন বরাদ্দ থাকলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৪৩৫ জন। তাকাহিরোর শিকার ৯ জনের মধ্যে এক জন বাদে সবাই কিশোরী কিংবা তরুণী। বয়স ১৫ থেকে-২৬ এর মধ্যে। কিন্তু কীভাবে সিরিয়াল কিলার হয়ে উঠল তাকাহিরো? পুলিশ জানিয়েছে, শিকার ধরতে ট্যুইটারকেই বেছে নিয়েছিল মানসিক বিকারগ্রস্ত এই যুবক। এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমে কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছে প্রকাশ করলে, তাদের টার্গেট করত তাকাহিরো শিরাইশি। আলাপ জমিয়ে ডেকে আনত নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সেই আত্মহত্যা-উন্মুখ, হতাশাগ্রস্তদের সামনে ভাবখানা এমন করত যেন সে নিজেও আত্মহত্যা করতে চলেছে। তাকাহিরো সকলকে বাড়িতে ডেকে এনে প্রথমেই বলত, নিজের জীবন শেষ করার ক্ষেত্রে সে সাহায্য করতে পারে।
সেই ফাঁদে পা দিলেই–। এ ভাবেই সে হয়ে ওঠে Twitter Killer। একটা খুনের নেশা থেকে আর একটা খুন– তাকে করে তোলে সিরিয়াল কিলার। পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মোট ৯ জনকে সে খুন করেছে। এই ট্যুইটার কিলারের আইনজীবীরা তাকে বাঁচাতে চেষ্টার কসুর করেনি। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিহতরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তাই তাদের সাহায্য করেছে তাকাহিরো। বিচারকরা অবশ্য সে যুক্তি মানেননি। জানিয়ে দেন, হতে পারে তাঁরা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের কেউই তাকাহিরোকে খুন করার অনুমতি দেননি। এর পরই আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।