নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ২৩ ডিসেম্বর : আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পূর্ত দফতরের জলাশয় দখল করার অভিযোগ উঠলো এলাকারই কতিপয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুর-১নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কুশিদাগামী রাজ্য সড়কের পাশে প্রায় ৭০ বছর ধরে পূর্ত দফতরের প্রায় ১৭ শতক খাস জমির মধ্যে ১১ শতক জমির ওপর বাস করে আসছিল তফিজুল শেখ ও তার পরিবার।
এমনকী অবশিষ্ট ৭ শতক জলাশয়ও তাদের দখলেই ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে এলাকার বাসিন্দা মালিকা বেওয়া ও তার ছেলেরা ওই জলাশয় নিজেদের মালিকানাধীন বলে দখলের চেষ্টা করতে থাকে। এনিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হলে চাঁচল আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত দখল বন্ধে নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মালেকা বেওয়া ও তার ছেলেরা মিলে নকল দলিল প্রস্তুত করে ওই জায়গাটি চাঁচলের বাসিন্দা মঞ্জুরী বিবি ও হাসিমুদ্দীনের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জমিতে বসবাসকারী তফিজুল শেখ জানিয়েছেন,এই সরকারি খাস জমিতে গত ৭০ বছর ধরে বাস করে আসছে। সরকারিভাবে তাকে থাকবার পাকা ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। এদিকে মালেকা বেওয়া ও তার ছেলেরা মিলে জাল দলিল বানিয়ে জমি দখল করে নিয়ে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে।
আদালতে মামলা করা হলে মাটি ভরাট বন্ধ করার নোটিশ দেওয়া হলেও তা না মেনে রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ভরাট করে সেখানে কংক্রিটের পিলার তৈরি করে ইটের গাঁথনি দিয়ে দেওয়াল বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।এই জমি দখল কান্ডে অভিযুক্ত মালেকা বেওয়ার ছেলে আব্দুল খালেক নিজেদের জমি বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবী করেন, এই জায়গায় পিডব্লিউডি’র কোন খাস জমি বলতে কিছু নেই। এই জমি তার মায়ের নামে রয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জমির ক্রেতা শেখ হাসিমুদ্দীন। তিনি জানান, মালেকার ছেলে আব্দুল খালেকের কাছ থেকে আসল দলিল দেখেই সাড়ে চার শতক জমি কিনেছেন তিনি। তাই কাগজ অনুযায়ী নিজের জমিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অন্যদিকেতুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শকুন্তলা সিংহকে জানান, জমি দখলের অভিযোগ এসেছে। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।