নিজস্ব সংবাদদাতা , রতুয়া , ২৩ ডিসেম্বর : ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রতুয়ার কাহালার সবজি বিক্রেতার খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল রতুয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলো রতন মাঝি (৪০) ও সঞ্জয় মাঝি (৬১)। তাদের বাড়ি রতুয়া-১ ব্লকের কাহালা নরোত্তমপুর দিয়ারা গ্রামে। এরা সম্পর্কে দু,ভাই। রতুয়া থানার পুলিশ সাত দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে তাদের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রতুয়া-১ ব্লকের কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নরোত্তমপুর দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত মন্ডল নামের এক সবজি বিক্রেতার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত সবজি বিক্রেতা হেমন্ত মন্ডলের পরিবারের তরফে রতন মাঝি সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে হেমন্ত মন্ডলের অবৈধ সম্পর্ক ছিল রতন মাঝির স্ত্রীর সঙ্গে। এই কথাটি জানতে পেরে রতন মাঝি নিজের রাগ না সামলাতে পেরে হেমন্ত মন্ডলকে খুন করে। খুনের পরিকল্পনা চলছিলো প্রায় সাত দিন ধরে। মঙ্গলবার সকালবেলা হেমন্ত মন্ডল সবজি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে যখন কাহালা যাচ্ছিলেন। সে সময় রতন তার পথ আটকায়। সে নিজের দাদা ও আরো চারজনকে সঙ্গে নিয়ে হেমন্তকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হেমন্ত মন্ডলের। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই রতন মাঝি এবং তার দাদা সঞ্জয় মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে খুন ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দু’জনকেই সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি চার অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।