
আর সি টিভি সংবাদ , ১০ মার্চ : বকেয়া ৩৯ শতাংশ ডিএ, প্রধানত এই দাবীতেই শুক্রবার বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি বেতনভোগী কর্মীরা। তারই অঙ্গ হিসেবে সারা রাজ্য জুরে ২৪ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করা হয় এদিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সম্মিলিত সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ শুরু থেকে ধর্মঘটকে সফল করতে তৎপর হয়। যদিও এদিনের ধর্মঘট ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চলে তীব্র চাপানউতোর। আমরা দেখেছি ধর্মঘট ঘিরে আন্দোলনকারিদের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে নবান্ন। এই ধর্মঘট রুখতে অতিরিক্ত মুখ্যসচীবের পক্ষ থেকে দফতরে না এলে একদিনের বেতন কাটার পাশাপাশি শোকজের নির্দেশিকা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন-প্রথাগত চাষবাস ছেড়ে বিকল্প চাষাবাদ করেই সাবলম্বী!
পরবর্তীতে আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয় বলে সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের হাজিরা ৪ বার খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ জারি হয়। এনিয়ে দিনভর ছিল টান টান উত্তেজনা। সারা রাজ্যের পাশাপাশি পাশাপাশি ধর্মঘটের মিশ্র ছবি দেখা যায় রায়গঞ্জেও। এদিন সকাল থেকে বিশেষ করে সকলের নজর ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে। তবে স্কুলগুলি পুরোপুরি বন্ধ না থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতির হার অনেকটাই কম ছিল। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দফতর যেন ব্লক, জেলা প্রশাসনিক ভবন, খাদ্য, শিল্প, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য, কৃষি সহ সমস্ত দফতরেই মিশ্র সাড়া লক্ষ করা যায়। দফতর গুলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় কর্মীদের হাজিরা কিছুটা কম ছিল। যদিও এদিনের ধর্মঘট ঘিরে সন্তুষ্ট নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায় চৌধুরীর দাবী ধর্মঘট সর্বাংশে সফল হয়েছে। সরকারী কর্মীদের বঞ্চনার প্রেক্ষিতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে ধর্মঘটের মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন-মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জরুরী পরিষেবা সচল স্বাস্থ্যকর্মীদের
অন্যদিকে, ডিএ মামলা যে সংগঠনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে অর্থাৎ কনফেডারেশন অফ ষ্টেট গভঃ এমপ্লয়ীজ অবশ্য সরাসরি ধর্মঘটে না গেলেও বাইরে থেকে নৈতিক ক সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারন সম্পাদক সূযশ মুখার্জি বলেন, যেহেতু তারা ডিএ মামলা লড়ছেন সেক্ষেত্রে মামলায় যাতে কোনো প্রভাব না পরে সে কারনেই এই সিদ্ধান্ত তাদের।যদিও এই ধর্মঘটের সফলতা মানতে নারাজ তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ধর্মঘট ৯০ শতাংশ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবী সংগঠনের জেলা সভাপতি উত্তম কুমার সিনহার।
