নিউজ ডেস্ক , কালিয়াগঞ্জ , ২১ সেপ্টেম্বর : করোনার থাবায় উলট-পালট হয়ে গিয়েছে দেশের মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। লকডাউন পরিস্থিতিতে ছেদ পড়েছে ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক স্কুল জীবনের। সংক্রমণ এড়াতে করোনা পরিস্থিতির পরবর্তী সময়ে কিভাবে খোলা হবে স্কুল, কিভাবেই বা পরিচালিত হবে স্কুলের পঠনপাঠন।
সোমবার এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সহযোগিতায় কালিয়াগঞ্জ শহর এবং ব্লকের সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল একটি আলোচনা চক্র। এদিন এই আলোচনা চক্রের উদ্বোধন করেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল। উল্লেখ্য, করোনা আবহে বন্ধ স্কুল। সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতেই রয়েছে প্রায় ৬ মাস ধরে। ফলে অনেকাংশেই বঞ্চিত তারা পঠন পাঠন থেকে। দীর্ঘ দিনের এই শিক্ষাদানের বিরত থাকায় অনেক জায়গায় শুরূ হয়েছে অনলাইনে পঠন পাঠন। তবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট তো দুরস্ত, মোবাইল ফোন সেখানে দুষ্প্রাপ্য।
সেইসব গ্রামগঞ্জে আবার ইন্টারনেট ব্যবস্থা না থাকার জন্য শিক্ষাদান কর্মসূচী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সোমবার সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অভিনব এক আলোচনার আয়োজন করা হল কালিয়াগঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে। শিবিরের উদ্যোক্তা সোমা বাগচী জানিয়েছেন, “করোনা কালীন সময়ে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। তবে কিভাবে এই ক্ষতি সামলে আবার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার আলোতে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।”
তরঙ্গপুর নন্দ কুমার স্কুলের শিক্ষক এজাবুল হক বলেন, “করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ের সুবিধা এবং অসুবিধার বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়। তবে সরকারী নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি না প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত স্কুল চালুর বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।” এদিনের আলোচনার চক্রে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জের অবর বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শক তানিয়া রুবায়েত ইসলাম, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডাঃ তাপস পাল, অধ্যাপিকা ডাঃ মমতা কুন্ডু, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক কালীরঞ্জন চৌধুরী সহ আরো অনেকেই। এদিন প্রায় চল্লিশটি হাইস্কুল, মাদ্রাসা, জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশ নেন এদিনের এই আলোচনা চক্রে।