চাঁচল, ২৩ জুন : টানা বর্ষণের জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরের নদীগুলির। জলস্তরবৃদ্ধিতে নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভাঙনের আতঙ্কে ভুগছে চাঁচলের মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা।অভিযোগ, ২০১২ সালে বড় বড় পাথর দিয়ে নদীর ভাঙ্গন রোধে বোল্ডার বাঁধাই করা হয়েছিল।কিন্তু এক দশক কেটে গেলেও সংস্কারের অভাবে ভাঙতে শুরু করেছে বোল্ডারগুলি।
সরকারি আধিকারিকেরা পরিদর্শনে এলেও কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৭সালে ভয়াবহ বন্যায় গ্রামছাড়া হয়েছিল গোটা গালিমপুর গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ সংস্কারের অভাবে ইতিমধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে বোল্ডারগুলি। এবারও মহানন্দার ক্রমাগত জলস্তর বৃদ্ধিতে বন্যা ও ভাঙনের আতঙ্কে ভুগছে গালিমপুর, যদুপুর, শ্রীপতিপুর, ভবানীপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম। সময় থাকতেই নদীবাঁধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। নইলে বন্যা ও ভাঙনে কৃষি জমির পাশাপাশি বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ মনোয়ারা বিবি বলন, বন্যার পরে ত্রানের ত্রিপল আর চাল তাদের দরকার নেই। বদলে দ্রুত সংস্কার করা হোক এই নদী বাঁধ।ঠিক সময়ে কাজ হলে হয়ত বেঁচে যেতে পারে গোটা গ্রাম।নইলে বন্যার পরবর্তীতে উদ্বাস্তু হতে হবে পুরো গ্রামকেই। অন্যদিকে এব্যাপারে চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, ভাঙ্গন পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিমধ্যে সেচ দফতরের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তবে বর্ষা অনেকটা আগেভাগে শুরু হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি নিজেও শীঘ্র এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাবেন। পাশাপাশি সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে এলাকাগুলি পরিদর্শনে আসার জন্য আর্জি জানিয়েছেন বলে জানান বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।
আরও খবর পড়ুন: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য