নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। গত ২২ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বেশ কিছু বছর যাবত ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সবুজ সংকেত দেখা দিলেও সম্প্রতি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তারপরেই ঘটে অবস্থার অবনতি। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হলেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপনি কী অ্যালকোহল লাভার? আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড পেল পুরস্কার?
মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাশিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিসওয়ার্ল্ডে। সেখানেই রাখা থাকবে দেহ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অগণিত ভক্ত। তারপর নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জ কবরস্থানে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রাশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রাশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রাশিদের দাদু। রাশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন শিল্পী।
রাম মন্দির অভিষেক অনুষ্ঠানে সন্তান প্রসবের আবদার গর্ভবতী মায়েদের
১০-১১ বছর বয়সে কলকাতা চলে আসেন রাশিদ। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ নিয়ে দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। তার পর থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার (২০০৬), পদ্মশ্রী (২০০৬), পদ্মভূষণ (২০২২) গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক একাদেমী (২০১০) সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও ২০১২ সালে তিনি পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান।