আরসিটিভি সংবাদ : রায়গঞ্জ পুর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিক পরিসেবা পৌঁছে দিতে রয়েছে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর।রাজ্যের পুর ও নগরউন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের।এবারে পুরসভার ২৭ টি ওয়ার্ডে নতুন করে বিধায়ক প্রতিনিধির তালিকা প্রকাশ করে বিতর্কে জড়ালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী।সরকারি পরিসেবা পুর নাগরিকদের পৌঁছে দিতে যেখানে সরকার স্বীকৃত ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটররা রয়েছেন সেখানে নতুন করে বিধায়ক প্রতিনিধি নিযুক্ত করার যৌক্তিকতা কতটা প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।এমনকি দলের অভ্যন্তরেও ছড়িয়েছে বিতর্ক।যদিও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীর সাফ জবাব সরকারি পরিসেবা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পুরসভার ২৭ টি ওয়ার্ডে বিধায়ক প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন তিনি
আরও পড়ুন – পরীক্ষার মধ্যেই দুয়ারে সরকার শিবির হাই স্কুলে
পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর থাকলেও তারা তাদের মত কাজ করবেন।বিরোধীদের আনা অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধায়ক | বিধায়কের এমন সিদ্ধান্তে রায়গঞ্জের বিধায়ক এবং রায়গঞ্জ পুরসভা দুইয়ের বিরোধ আবারও প্রকাশ্যে চলে এল।রায়গঞ্জ পুরসভার উপ পুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার বিধায়কের এমন ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ
তৃণমূল কংগ্রো একটি দল বিধায়কের দল চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই।বরং তিনি ব্যবসায়ী হিসাবে কোম্পানী চালানোতে দক্ষ হতে পারেন।তৃণমূল কংগ্রেসে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোনও ব্যক্তি সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন বা তালিকা প্রকাশ করা যায় না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অরিন্দমবাবু বিধায়কের এহেন ভুমিকার সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।বিরোধীরা এমন ঘটনায় তৃণমূলের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলেই দাবি করেছেন।বিরোধ বা অর্ন্তদ্বন্দ্ব?আসলে রায়গঞ্জ পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন সংগঠিত না করে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।বিগত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসকে প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান হিসাবে বসিয়ে প্রশাসক মন্ডলীর ভাইসচেয়ারম্যান করা হয় অরিন্দম সরকার এবং প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হিসাবে রাখা হয় সাধন বর্মনকে।কিন্তু পুরসভা পরিচালনায় তিন সদস্যর প্রশাসক মন্ডলী বসানো হলেও পরবর্তীতে রায়গঞ্জের বিধায়কের সুপারিশের ভিত্তিতে পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বসানো হয় একজন করে কোঅর্ডিনেটর।আর এবার নতুন করে পুরসভার ২৭ টি ওয়ার্ডে বিধায়কের প্রতিনিধি তালিকা প্রকাশ করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী।বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ আসন থেকে জয় পেলেও পরবর্তীতে কৃষ্ণ কল্যানী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।যদিও বিধানসভায় কাগজে কলমে বিরোধী সদস্য হওয়ায় পেয়েছেন পিএসি চেয়ারম্যানের পদ।ফলে রায়গঞ্জ পুর এলাকায় একবার ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর আবার এখন বিধায়কের প্রতিনিধি নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিধায়কের অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে বলে তৃণমূল দল ও বিধায়ককে বিঁধলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার
আরও পড়ুন – ফের রায়গঞ্জ শহরে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
বিধায়কের নিজের প্যাডে এভাবে পুর ওয়ার্ডগুলিতে প্রতিনিধি তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি সিপিআইএমও।দলের জেলা কমিটির সদস্য উত্তম পাল বলেন,বিধায়ক এখন জেলার সর্বময় কর্তা হয়ে উঠেছেন।তারই প্রতিফলন ঘটছে তার কাজের মধ্য দিয়ে।এরফলে পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পুর নাগরিকরা।
আরও পড়ুন – অবাধে কেটে ফেলা হল আমগাছ প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
পুর এলাকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিধায়ক প্রতিনিধির তালিকা বিধায়ক প্রকাশ করতেই রায়গঞ্জ পুর এলাকায় দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব।সূত্রের খবর,শীঘ্রই বিধায়কের প্রকাশিত তালিকা বাতিলের নির্দেশ পাঠাচ্ছে রাজ্য।কারন পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে এভাবে বিধায়ক প্রতিনিধি দিতে পারেন না।শুধুমাত্র কোনও অনুষ্ঠানে বিধায়কের অনুপস্থিতিতে বিধায়ক একজন প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন।রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পর বিতর্ক কোনদিকে যায় সেটাই এখন দেখার
আরসিটিভি সংবাদ রায়গঞ্জ