নিউজ ডেস্ক , ২১ অক্টোবর : বিজেপি তথা এন ডি এ-র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বুধবার প্রায় তিন বছর আত্মগোপন করে থাকার পর প্রকাশ্যে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিমল গুরুং বলেন,’ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দাবি পূরণ হয়নি। কথা রাখেন নি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই এন ডি এ জোটে আমরা আর থাকছি না।
সমস্ত সম্পর্ক আজ থেকে ছিন্ন করলাম৷’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করে বিজেপিকে তার জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিমল গুরুং। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিমল গুরুংয়ের এই ঘোষণা স্বাভাবিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ রয়েছে বিজেপির। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে মোর্চার সমর্থনে জয়ী হয়েছিলেন প্রয়াত বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং। এরপর ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ের রাশ কোন দলের হাতে থাকবে তা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্য্যে টানাপোড়েন চললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও পাহাড়ে ব্যাকফুটে পড়ল গেরুয়া শিবির৷
তবে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে ২০১৭ সালে দার্জিলিং অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক খুন হন। এরপরেই বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মী খুন সহ ইউএপিএ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। তারপর থেকেই ফেরার হয়ে যান এক সময়ের পাহাড়ের এই দাপুটে নেতা। এতদিন পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজলে তার হদিশ পাওয়া যায় নি৷ যদিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুং দাবি করেন তিনি কোনো অপরাধী নন। দিল্লিতেই ছিলেন তিনি৷ তবে কেন তিনি প্রকাশ্যে আসেন নি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাহলে চাপে পড়েই কী আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করলেন গুরুং?