নিউজ ডেস্ক, ১৬ মে : গত বছর এরাজ্য দ্বিগুণ সমস্যায় পড়েছিল৷ একদিকে করোনার থাবা আর অন্যদিকে আমফান ঘূর্ণিঝড়৷ এবারেও তীব্র করোনার দাপটে যখন দিশেহারা গোটা দেশ, তখন আবারও আসছে আরেক ঘূর্ণিঝড়৷ তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ নয়৷
এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ গুজরাট৷ আগামী মঙ্গলবার গুজরাত উপকূলে তীব্র বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’। মৌসব ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এটি আরব সাগরের পূর্ব-মধ্য উপকূলে ছিল। সে সময় দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মুম্বইয়ের ৫৯০ কিলোমিটার এবং গুজরাতের বেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার ৮২০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল। তবে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে ক্রমশঃ উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ‘তকতে’।আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, শনিবার রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর পর ১৮ মে, মঙ্গলবার সকালে তা গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার দুপুরে অথবা সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের পোরবন্দর এবং নালিয়া পার করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির। এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই গুজরাত উপকূলবর্তী এলাকা-সহ দিউতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একাধিক রাজ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার জেরে কেরলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সমুদ্রবর্তী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ু জাতীয় বিপর্যয় মেকাবিলা বাহিনীর ৫০টিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত-সহ ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ওই রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত তৎপর রাজ্য সরকার৷