কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। রায়গঞ্জে বাইপাস চালু হওয়ায় একদিকে যখন যাত্রী সাধারন যানজটের ঝামেলা থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। তখন অপরদিকে মুখের হাসি ম্লান হয়েছে শহরের গ্যারেজ ব্যবসায়ীদের। দুরপাল্লার সমস্ত গাড়ি বাইপাস দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে। যার জেরে শহরে আর সেভাবে গাড়ি ঢুকছে না।
এতে গ্যারেজ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত। যার প্রভাব পরছে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত কয়েকশো পরিবারের উপরে। দীর্ঘদিন থেকে শুরু হয়েছিল রায়গঞ্জের রুপাহার থেকে পানিশালা পর্যন্ত বাইপাস নির্মানের কাজ। অবশেষে সেই কাজ শেষ হওয়ার পর বাইপাস পূর্নাঙ্গরুপে চালু করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই দুরপাল্লার সমস্ত গাড়িই এই পথ দিয়ে যাতায়াত করছে। হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করছে। এতে একদিকে যখন যাত্রী সাধারণ বেজায় খুশী তখন অন্যদিকে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন রায়গঞ্জ শহরের গ্যারেজ ব্যবসায়ী এবং কর্মীরা। শুধু আশঙ্কা নয় তা ইতিমধ্যেই সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা।
বিজেপির বৈঠকে তুলকালাম, আক্রান্ত মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যা
মূলতঃ রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় এক-দেড় কিলোমিটার জুরে রয়েছে গ্যারেজ মার্কেট। আগে এই এলাকার উপর দিয়ে বিস্তৃত ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে সমস্ত গাড়ি যাতায়াত করত। ফলে গাড়ির কোনো সমস্যা হলে এই সব গ্যারেজে ঢুকিয়ে তা সারাই করা হত। কিন্তু এখন বাইপাস চালু হওয়ায় সেই ব্যবসা মার খাচ্ছে। কোনো রকমে দিন চলছে ব্যবসায়ীদের।
ইন্দ্রজিৎ রায় নামের এক ব্যবসায়ী জানান, এক সময় অনেক কাজ ছিল, ব্যস্ততাও ছিল প্রচুর। এখন কাজ হচ্ছে না। ফোরলেন চালু হওয়ায় শহরের মধ্যে গাড়ি কম আসছে। ফলে তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। গদাধর দেবনাথ নামের এক গ্যারেজ ব্যবসায়ী জানান, ফোরলেন চালু হওয়ায় বর্তমানে কাজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। আগে দুরপাল্লার গাড়ি রায়গঞ্জ শহরে ঢুকতো।
আপাতত বিদায় নিতে চলেছে পৃথিবীর ‘দ্বিতীয় চাঁদ’।
এখন আর কাজ নেই। কিভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। সরকার যাতে বিষয়টি দেখে তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। প্রদীপ শর্মা নামের এক টায়ার ব্যবসায়ী জানান, ফোল্ডিং চালু হওয়ার পর ব্যবসা-বাণিজ্য একদম নেই। খুব অসুবিধের মধ্যে চলতে হচ্ছে। শঙ্কর সূত্রধর নামের অপর এক গ্যারেজ ব্যবসায়ী জানান, ফোরলেন চালু হওয়ায় তাদের অনেক অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আগে রায়গঞ্জ শহরে গ্যারেজের যে মার্কেট ছিল এখন তা অতীত। সব গাড়ি বাইপাস দিয়ে চলে যাচ্ছে। এখন কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে ফোরলেনের পাশে গ্যারেজ হাব তৈরি করে দিলে ভালো হয়।