
নিউজ ডেস্ক, ২৬ জুন : সাপের কামড়ে মৃত মেয়েকে ভেলায় ভাসিয়ে দিল বাড়ির লোকজন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। মৃত কিশোরীর নাম পূজা মৃধা। তার বাড়ি ছোট মোল্লাখালির কালিদাসপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
শুক্রবার রাতে সাপে কামড়ানোর পর পরিবারের সদস্যেরা হাসপাতালের পরিবর্তে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যান তাকে। তাতেই পূজার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর শনিবার সকাল হতেই সারসা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় কিশোরীর মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, শুক্রবার রাতে বাবা দীপ মৃধার সঙ্গে বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল পূজা। অধিক রাতে হঠাৎই একটি বিষধর সাপ পূজার পায়ে কামড় দেয়। পরে তড়িঘড়ি বাবা ও প্রতিবেশীরা মিলে তাকে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাস্তা খারাপের জন্য হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় পূজাকে। এমনটাই অভিযোগ। ওঝার কেরামতি চলে প্রায় তিন ঘন্টা। ঝাঁড়ফুক করায় কার্যত বিনা চিকিৎসায় পূজার মৃত্যু হয়। পরে ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পৌঁছানোর পরই চিকিৎসকরা পূজাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। কিন্তু সকাল হতেই কলার ভেলায় মৃত কিশোরীকে সারসা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কলার মান্দাসের দেহটি তোলার আগে ধুপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে ও মশারি খাটিয়ে, কপালে চন্দন দিয়ে, কালিদাসপুরের গ্রামবাসীরা চোখের জলে শেষ বিদায় দেন ছোট্টো পূজাকে। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বহু এলাকা ডুবে গিয়েছিল। তার ফলে বিষধর সাপ লোকালয়ে চলে আসায় আতংক ছড়িয়েছে। তারমধ্যেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। তবে কলার ভেলায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া কুসংস্কার বলেই মত চিকিৎসকদের৷
আরও খবর পড়ুন : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির
