নিউজ ডেস্ক, ৭ সেপ্টেম্বর : মানুষের অত্যাচারে বিপন্ন বনভূমি। ফলে সবুজ রক্ষায় বিশ্বজুড়ে কাজ করে আসছে বহু সংগঠন। এমনই একজন হলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ডি সর্বানন। বিগত ২৬বছর ধরে একটু একটু করে ১০০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তুলেছেন বনভূমি। এই বনভূমির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অরণ্য’।
তবে তার এই কর্মকান্ডের শুরু হয়েছিল ৯০-এর দশকের একেবারে শুরুতে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় ক্রমাগত বৃক্ষচ্ছেদনের প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল ‘সেভ ওয়েস্টার্ন ঘাট’ আন্দোলন। সেই পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর পঁচিশের ডি সর্বানন। সমাজকে বদলাতে একাই উদ্যোগী হলেন তিনি।
কন্যাকুমারীর কাছে পুথুরিয়ায় খানিকটা পরিত্যক্ত জমিকে বেছে নিলেন তাঁর কাজের জন্য। এরপরেই পশ্চিমঘাট এবং পূর্বঘাট পর্বতমালা থেকে সংগ্রহ করলেন বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা। তবে বনসৃজন গোছের কোনো প্রকল্পের মত করে নয়। বরং গাছগুলিকে নিজেদের মতো করে বেড়ে উঠতে দিয়েছেন তিনি।। আর তার ফলেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এই বনভূমি।
এখন এই বনভূমিতে রয়েছে অন্তত ৩৫ হাজার প্রজাতির গাছ। গাছেদের পাশাপাশি রয়েছে ২৪০ রকম প্রজাতির পাখি এবং প্রায় ৫৪টি প্রজাতির প্রজাপতি। এই বাস্তুতন্ত্র আকর্ষণ করে দেশ বিদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানের গবেষক এবং পড়ুয়াদেরও। এমনকি পাখি দেখতে ভীড় করে বিভিন্ন এলাকার পাখি প্রেমীরা। সব মিলিয়ে তাঁর উদ্যোগ এখন সত্যিই জনপ্রিয়।
শুধু পরিবেশ বা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা নয়, মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও বনভূমির ভূমিকা অতুলনীয়। এমনটাই মনে করেন ডি সর্বানন। বনভূমি রক্ষার জন্য সমস্ত প্রান্তের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে অভিমত তার।