নিউজ ডেস্ক, ৭ সেপ্টেম্বর : আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর এবার হাইপারসনিক প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা করল ভারতের ডিআরডিও। শব্দের থেকে ছ’গুণ গতিতে ছোটার ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপনাস্ত্রের। সোমবার ওড়িশার বালাসোরে এই পরীক্ষা হয়। বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ এই উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী হলেও এবার ভারতও সেই তালিকায় নাম লেখাল। স্বাভাবিকভাবেই এই ক্ষেপনাস্ত্র যে চিন পাকিস্তানের রাতের যে ঘুম কেড়ে নিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ওড়িশার বালাসোরে অবস্থিত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এপিজে আব্দুল কালাম নামাঙ্কিত টেস্টিং রেঞ্জ থেকে এই হাইপারসনিক টেস্ট ডেমোস্ট্রেটর ভেহিক্যালসটি উৎক্ষেপণ করা হয়। জানা গেছে অগ্নি মিসাইলের বুস্টার ব্যবহার করে এই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই বুস্টার হাইপারসনিক ভেহিকেলকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যায়। তারপর অগ্নি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেটি। সফলভাবে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন চালু করা হয়।
এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডি আর ডি ও। এই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিলেন ডি আর ডি ও-র প্রধান সতীশ রেড্ডি ও তাঁদের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন এদিনের পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। জানা গেছে ভারতের অস্ত্র ভান্ডারে এই হাইপারসনিক মিসাইল আসতে আরও পাঁচ বছর সময় লাগবে। কিন্তু হাইপারসনিক প্রযুক্তির আসল রহস্য কী? কেন শব্দের চেয়ে ৬ গুণ গতিতে ছোটে এই ক্ষেপনাস্ত্র? আসুন জেনে নিই–
দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শত্রুপক্ষ এই ক্ষেপনাস্ত্রের অবস্থান কোনো মতেই ধরতেই পারে না। ভূমি থেকে আকাশ ও যুদ্ধজাহাজ তিন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা সম্ভব। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র থেকে শুরু করে রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র। এখন দেখার কবে এক উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র ভারতীয় অস্ত্র ভান্ডারে যুক্ত হয়।
আরও পড়ুন : অবশেষে! গ্রেপ্তার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী