মানিকচক, ২৯ আগস্ট : নদী ভাঙনে জেরবার মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনি চরের কেশবপুরে এলাকা। পাশাপাশি বন্যার জলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার ভাঙন এবং বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্বরা। এদিন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি তারা কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সাথেও, শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা।
এদিনের কর্মসূচীতে মহম্মদ সেলিম, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, নওশাদ সিদ্দিকী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনি চরের কেশবপুর এলাকায় বিগত কিছুদিন আগে বাঁধের একাংশ গঙ্গা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়, পাশাপাশি গদাই চরের কয়েকশো পরিবার গঙ্গা নদীর জলে বন্যায় প্লাবিত হয়। বর্তমানে বানবাসীরা ভূতনির হীরানন্দপুর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন সংযুক্ত মোর্চার তরফ থেকে সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম, রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, আইএসএফের ভাঙর বিধানসভার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ মালদা জেলা সিপিএইএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র, বামফন্টের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা, বামফ্রন্ট নেতা শ্যামল বসাক এবং নেতা কর্মীরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।সাধারণ মানুষের ও বানভাসি মানুষদের সমস্যার কথা শোনেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পাশাপাশি ভূতনি চরের মানুষকে আশ্বাস দেন তাদের অসুবিধার কথা ও ভাঙনের দুরবস্থার পরিস্থিতি তারা প্রশাসনিক মহলে তুলে ধরবেন। রবিবার দুপুরে ভূতনির কোশিঘাট এলাকার ভাঙন পরিদর্শনের শেষে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন, মালদায় ভাঙ্গনের অবস্থা খুব ভয়াবহ। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলার ফলে ভূতনি চরের মানুষের দুরবস্থা। বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। ভাঙন রোধের জন্য সঠিক পরিকল্পনা দরকার। আমরা ভাঙনের সমস্যা বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরবো।