নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ , ২৮ সেপ্টেম্বর : একটানা বৃষ্টিতে নাগর নদীর জলে প্লাবিত রায়গঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন, জগদীশপুর, মাড়াইকুড়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা নাগর নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও কোমর জলে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে বহু গ্রামবাসী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
একে তো করোনা অতিমারিতে প্রায় নিঃস্ব মধ্য ও নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ। তার ওপর নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। জেলার অন্যতম বড় নদী নাগর, টাঙ্গন ও কুলিক নদীর জল কার্যত বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত দু’দিন ধরে রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর, বাহিন সহ বেশকয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকাতে নাগর নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল বাহিনের ভিটিহার, কুমারজোল এই গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কোথাও হাঁটুজল, আবার কোথায় আবার কোমর জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি এই গ্রামীণ এলাকাগুলির বিস্তীর্ণ চাষের জমি জলের তলায় ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। ফলে বিপুল ক্ষতির আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা৷ সোমবার এলাকার বহু বানভাসি মানুষ কোমর জল ডিঙিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে এই নিয়ে চারবার বানভাসি হলেন রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন, জগদীশপুর সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ। রবিবার রাতে বাহিন অঞ্চলের কুমারজোল, ভিটিহার সহ বিভিন্ন গ্রামের বাড়িঘরে কোমর জল দাঁড়িয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারিনি। ভোর ৫ টা থেকেই গ্রামগঞ্জের মানুষ ছেলেমেয়েকে নিয়ে তড়িঘড়ি ত্রাণ শিবির গুলিতে আশ্রয় নেন। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কি করে আগামী দিনের চলবেন তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোনো ত্রাণ সামগ্রী তারা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন দুর্গত মানুষেরা।