নিউজ ডেস্ক, ২২ জুন : দেশজুড়ে ধরা পড়লো ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ। ইতিধ্যেই দেশে মোট ২১ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। গত ১৬ জুন মধ্যপ্রদেশে করোনার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজাতি ডেল্টা প্লাস-এর প্রথম কেস পাওয়া যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই কেরলে ৩ জন এবং এবারে মহারাষ্ট্রে ২১ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেল।
যা রীতিমতো উদ্বেগের। ৯ জন রত্নাগিরি, ৭ জন জলগাঁওয়ের, মুম্বইয়ে ২, পালঘর, সিন্ধুদুর্গ এবং থাণেতে এক জন করে ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন।রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, “গত ১৫ মে থেকে রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকে ১০০টি করে নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। মোট সাড়ে ৭ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২১ জনের দেহে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে।”
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এই প্রজাতির সংক্রমণে কোভিডের চেনা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না কারও শরীরে। ডেল্টা প্লাস-এর সংক্রমণের উপসর্গ এখনও জানতে না পারায়, উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসকেরা।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ধীরে ধীরে যখন সুস্থতার পথে এগোচ্ছে দেশ, তখন চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। মহারাষ্ট্রে শীঘ্রই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্স। আগামী ২-৪ সপ্তাহের মধ্যেই সে রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ককরেছে টাস্ক ফোর্স। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় রেকর্ড হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে তৃতীয়ঢেউয়ে।উল্লেখ্য, ভারতে প্রথম ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়ার পরেই এইমস অধিকর্তা রণদীপগুলেরিয়া জানান,আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। তাঁর মতে, সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে গণপরিবহন, বাজার, শপিং মল, অফিসে ভিড় জমায় সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে। এই কারণেই তৃতীয় তরঙ্গের পরিস্থিতি প্রথম ও দ্বিতীয় বারের তুলনায় ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।